ads

বুধবার , ৬ মার্চ ২০১৯ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

অর্থাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত ঝিনাইগাতীর মেধাবী শিক্ষার্থী আলমগীরের

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
মার্চ ৬, ২০১৯ ১:১৩ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী আলমগীর কবিরের। মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ফিকে হতে চলেছে তার।
জানা যায়, আর্থিক অনটনের কারণে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বেলতৈল গ্রামের দিনমজুর মুজিবুর রহমানের ছেলে আলমগীর কবিরের পড়াশোনা একসময় বন্ধের উপক্রম হলে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডপস’ এর সহযোগিতায় পুনরায় শুরু হয় তার শিক্ষাজীবন। এরপর সে ঘাগড়া এফ রহমান দক্ষিণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পায়। পরে রাজধানী ঢাকার খিলগাও মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাসের পর কোন রকমের কোচিং ছাড়াই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সর্বশেষ সে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় ও গ ইউনিটে ৭ম স্থান অর্জন করে। আলমগীরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জন্য প্রায় ২০ হাজার টাকার প্রয়োজন। তাদের ৫ সদস্যের সংসারে এমনিতেই নুন আনতে পানতা ফুরায়। যেখানে এক দিনের খাবার যোগার করতেই তার হতদরিদ্র পিতাকে হাঁপিয়ে উঠতে হয়, সেখানে কোথায় পাবে সে ২০ হাজার টাকা। আগামী ১০ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে। এ অবস্থায় কোন হৃদয়বান বিদ্যানুরাগী ব্যক্তি যদি আলমগীরের ভর্তি ব্যাপারে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাহলেই তার পক্ষে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে।
আলমগীরের বাবা মুজিবুর রহমান জানান, ‘আমার কোন সামর্থ্য নেই যে ছেলেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ামু। এতদিন ‘ডপস’ এর সহায়তায় পড়ালেখা কইরা আইছে। এহনও যদি কেউ একটু সাহায্য করে তাইলে পড়তে পারবো। আমার বিশ্বাস দুনিয়ায় এহনো ভালা মানুষ আছে’।
এ ব্যাপারে আলমগীর কবির জানায়, কোন সহৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিক সহায়তা দিয়ে আমাকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেন, তবেই আমার উচ্চশিক্ষা লাভের আশা পূরণ হবে। আর এজন্য পরিবারসহ আমি তার বা তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!