নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে কৃষিপণ্যের গুদামে আগুন লেগে কোটি টাকার বেশি মূল্যের মালামাল ভস্মিভূত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোরে উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারের পাট, সরিষা, ধান, ভুট্টা, কালাইসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্যের গুদামে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শেরপুর ও নালিতাবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় একটি পাটের, ৩টি ধানের, ২টি সরিষার ও একটি কালাই ও ভূট্টার গুদামের মালামাল পুড়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৩৫ লাখ টাকার পাট, ৬০ লাখ টাকার সরিষা, ২০ লাখ টাকার কালাই ও অর্ধলাখ টাকার ধান ও ভূট্টা পুড়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার ফজর নামাজের সময় গুদান এলাকার আকাশে ধূয়া দেখে অনেকে গুদামের দিকে এগিয়ে গিয়ে গুদাম ঘরের ভিতরে আগুন জ্বলতে দেখেন। মুহূর্তেই আগুন পাশাপাশি ৪টি বিশালাকৃতি ঘরের অন্তত ৭টি গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গুদামের মালিকদের সাথে কথা জানা গেছে, এই অগ্নিকাণ্ডে অন্তত কোটি টাকার বেশি মূল্যের মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পাট ও ধান গুদামের মালিক শহিদুল মুন্সি, তার ৪০ লাখ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাল ভস্মিভূত হয়েছে। তাছাড়া ধান ও সরিষা গুদামের মালিক রিপন মিয়া ও শাহজাহান মিয়া এবং সরিষা, কালাই ও ভূট্টা গুদামের মালিক শফিকুল ইসলামসহ বেশকয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী বলেন, ফজর নামাজের পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আগুন লাগার বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করি এবং ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে চলে না আসলে, কয়েক কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হতো বলে তিনি জানান।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার সুবল চন্দ্র দেবনাথ জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এই মুহুর্তে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তিনি জানান। তবে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
