স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের সকল জাতিসত্ত্বার মাতৃভাষার শিক্ষার অধিকার দাবিতে মানববন্ধন, র্যালি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ’র আয়োজনে শহরের চকবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জনউদ্যোগ শেরপুরের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ড. সুধাময় দাস, সমাজসেবী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, সহযোগী অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া শিবু, সহকারী অধ্যাপক তপন সারওয়ার, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট প্রদীপ দে কৃষ্ণ, শামীম হোসেন, নারীনেত্রী আইরিন পারভীন, এনজিওকর্মী সোলায়মান আহমেদ, আইডি ফেলো সুমন্ত বর্মন, ছায়েদুল ইসলাম শাওন, মনীন্দ্র বিশ্বাস, মলয় চাকী, মিথুন কোচ, লক্ষণ বর্মণ, শুভ হাজং প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব হাকিম বাবুল।
বক্তারা বলেন, শেরপুর জেলায় ৭টি আদিবাসী গোষ্ঠীর বসবাস। ওই ৭টি আদিবাসী জনগোষ্ঠির মধ্যে গারো, কোচ, হাজং এবং ডালু জনগোষ্ঠির নিজস্ব ভাষা রয়েছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে কোন ধরনের বর্ণমালা সংরক্ষিত না হওয়ায় মুখে মুখে প্রচলিত ভাষা আজ বিলুপ্তির পথে। এজন্য দেশে বসবাসকারী সকল আদিবাসীদের ভাষার রক্ষার দিকে নজর দিতে হবে। যেসব জনগোষ্ঠির ভাষা প্রচলিত আছে কিন্তু বর্ণমালা নেই, তাদের বর্ণমালা উদ্ধার ও লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সকল আদিবাসী জনগোষ্ঠির নিজস্ব ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। আদিবাসী এলাকায় মাতৃভাষার পাঠদানের উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগ করারও দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে অংশগ্রহণ করে ইনস্টিটিউট ফর এনফায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরাম, পিলাচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, বর্মন ছাত্র পরিষদ, শেরপুর আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
