শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ইসলামি বিপ্লবের ৪০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইরান আবারও একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের জানান দিয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডস ‘দেজফুল’ নামের নতুন এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে। সরকারি সংবাদ সংস্থা সেপাহ ছবিসহ খবর প্রকাশ করে জানিয়েছে, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা ১ হাজার কিলোমিটার। এর আগে গত শনিবার ‘হোভাইজাহ’ নামের নতুন একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় তারা।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে একটি মাইলফলক চুক্তি সই হয়। গত বছরের মেতে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। কারণ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই চুক্তিতে ফাঁক রয়ে গেছে। সেখানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন বন্ধের কোনো কথা নেই। এরপরই ট্রাম্প ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্যে পরিণত করেন। এ জন্য নতুন অবরোধসহ যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক চাপে ইরান কিছুটা বিপর্যস্তও। এরই মধ্যে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র দেশটি নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের জানান দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করতে জানে।
নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি কোথায় রাখা হয়েছে সেটি প্রকাশ করেনি ইরান। সেপাহর প্রকাশিত ছবিতে শুধু দেখা যাচ্ছে, অ্যারোস্পেস কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফরি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরালি হাজিজাদেহ একটি কক্ষে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষা করে দেখছেন। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনব্যবস্থা মাটির নিচে করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি পুরোনো জোলফাঘর মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিক সংস্করণ বলে জানিয়েছেন অ্যারোস্পেস কমান্ডার। গত বছরের অক্টোবরে ইরান প্রথমবারের মতো সিরিয়ার জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার সময় জোলফাঘর ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। জাফরির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা জোলফাঘর সংস্করণের দ্বিগুণ। জাফরি বলেন, ‘ইউরোপীয়রা আমাদের প্রতিরক্ষা সামর্থ্য সীমিত রাখার দাবি জানিয়ে আসছে। অথচ তারাই বিশ্বজুড়ে নিরীহ মানুষের ওপর সামরিক শক্তি ব্যবহারের ধৃষ্টতা দেখিয়ে আসছে।’