শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও বিলি হওয়ার ঘটনায় হয়রানীর শিকার হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে হুলস্থুল সৃষ্টি হলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পর ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিলি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
উপজেলার এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার মনিরুজ্জামান জানান, এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষার ২শ প্রশ্নপত্রের একটি প্যাকেটের উপরে লেখা ছিল ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র। কিন্তু ভিতরে কিছু প্রশ্নপত্র ছিল ২০১৮ সালের। এখানে ৭৪ জন শিক্ষার্থীর কাছে ওইসব প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। ওইসব প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের নজরে আসে বিষয়টি। একইভাবে বানিবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা জানায়, পরীক্ষার প্রায় এক ঘন্টা পর তারা দেখতে পায় তাদের প্রশ্নপত্র ২০১৮ সালের। এতে বিপাকে পড়ে পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া একই পরিস্থিতির শিকার হয় উপজেলার টেংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে। টেংগরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু রায়হান জানান, ওই কেন্দ্রে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থীর হাতে দেওয়া হয়েছিল ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০/১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। পরে কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র ও খাতা ফেরত নিয়ে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে প্রায় এক ঘন্টা পর পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্র সচিব আবুল খায়ের বলেন, কয়েকটি কক্ষে ভুলবশতঃ ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়েছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজুতি ধরের পরামর্শে প্রশ্নপত্র ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। হয়তো ভুলবশত এসব প্রশপত্র ২০১৯ সালের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্যাকেটে ভরা হয়েছিল। উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোশারফ হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র ফটোকটি করে পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র বিতরণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওইসব প্রশ্নপত্র নিয়ে ফটোকপি করে আবার পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এতে সাময়িক বিঘœ ঘটলেও তেমন সমস্যা হয়নি।