নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রথম দিনের দাখিল পরীক্ষায় তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাঝে ২০১৯ সালের প্রশ্ন পত্রের স্থলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ ও বিলির ঘটনা ঘটেছে। পরে বিষয়টি নিয়ে হুলস্থুল সৃষ্টি হয় এবং পরীক্ষা বিঘিœত হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় আধা ঘন্টা পর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
জানা যায়, তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে ২ ফেব্রুয়ারি শনিবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ৪৮৬ জন শিক্ষার্থী। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর প্রথমে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) আধা ঘন্টা পর শেষ হয়। পরবর্তীতে সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। প্রথম পরীক্ষা বিষয় ছিলো কোরআনে মজিদ। পরীক্ষা শুরুর আধাঘন্টা পরে শিক্ষার্থীদের নজরে আসে ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে ২০১৯ সালে প্রশ্নপত্রের স্থলে ২০১৮ সালের প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র সচিব তারাগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল একেএম মোশারফ হোসেন আকন্দকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি দ্রুত বিষয়টি ইউএনও আরিফুর রহমানকে অবগত করেন। আরিফুর রহমান শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিশেষ ব্যবস্থায় আধাঘন্টা সময় বাড়িয়ে দিয়ে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। ফলে বেলা দেড়টায় শেষ হয় ওই পরীক্ষা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলে, প্রথমে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। আধাঘন্টা পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। পরে স্যারদের প্রশ্নপত্র দেখালে তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল একেএম মোশারফ হোসেন আকন্দ বলেন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে ভুলবশত ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের স্থলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। বিষয়টি নজরে এলে দ্রুত ইউএনও স্যারের পরামর্শে আধাঘন্টা সময় বাড়িয়ে নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালের জায়গায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি শুনেই দ্রুত বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে আধাঘন্টা সময় বাড়িয়ে দিয়ে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে সাময়িক অসুবিধা হলেও পরীক্ষার্থীদের কোন প্রকার সমস্যা বা ক্ষতি হবে না।