শ্যামলবাংলা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি মনোনয়ন বাণিজ্য না করত তাহলে তাদের ফলাফল আরেকটু ভালো হতো বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ জানুয়ারি শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথসভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ এর নির্বাচনে বিএনপি যদি মনোনয়ন বাণিজ্য না করত, তাহলে হয়তো তাদের ফলাফল আরও একটু ভালো হতে পারত। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্ত, সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি বলেই জনগণ নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা লুটের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে আছেন আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হত্যা মামলা, দুর্নীতি এবং মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এসব কর্মকাণ্ডের জন্যই তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অতীতের মতো সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনও বিএনপি বানচালের চেষ্টা করেছিল। এবারও তাদের নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টা সবাই দেখেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনও তারা বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে এ দোষ তাদের। গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের সংসদে আসা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তা নিজ গতিতেই চলবে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আওয়ামী লীগ আজকের অবস্থানে এসেছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অর্জনগুলো ধরে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয় বলেই মানুষ আবারও আমাদেরকে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত দশ বছরে জনগণের সেবক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে বলেই মানুষ ভোট দিয়ে আবারও বিজয়ী করেছে। জনগণ বুঝতে পেরেছে শুধু আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, দেশের উন্নয়ন হয়।