শ্যামলবাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনী মাঠে নামলে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘এ কারণে বার বার আমরা সেনবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলাম ম্যাজিট্রেসি পাওয়ার দিয়ে। কারণ সেনাবাহিনী নামলে ভোট ডাকাতি করতে পারবে না, ভোট কারচুপি করতে পারবে না, সন্ত্রাসীরা সিল মারতে পারবে না।’
তিনি ২২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওইসব কথা বলেন।
ওইসময় তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক। জনগণের ভরসা আছে যে, সেনা মোতায়েন করা হলে সন্ত্রাসীরা জাল ভোট দিতে পারবে না এবং রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স পূরণ করতে পারবে না। এটা জনগণের বিশ্বাস। এই বিশ্বাসটুকু সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্ষা করতে পারবেন। এটা জেনেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধীদলসহ সবাই সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বার বার সোচ্চার কণ্ঠে বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার নানা টালবাহানা করে এখনও পর্যন্ত তাদেরকে মোতায়েন করেনি। আমার বিশ্বাস, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়, তাতে জনগণের মধ্যে একটা আস্থা ফিরে আসবে এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনি দিয়ে ছেঁকে তুলছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদেরকে না পেয়ে নারী সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্দোষ বিএনপি চেয়ারপারসনকে কীভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এটার উদ্দেশ্যই ছিল তারা একতরফা নির্বাচন করবে। সে একতরফা নির্বাচনের আমরা আলামত দেখেছি। এগুলোতো সবই পূর্বপরিকল্পিত। নীলনকশা, সেই নীলনকশা ধরেই তারা অপপ্রচার করছে। এই ধরনের চাতুরতা যারা এটা করছেন তাদের কূৎসিত চেহারা মানুষের কাছে ভেসে উঠেছে। আমরা ওদের অপপ্রচার একদিন ক্ষমাও করে দেবো।’
