স্টাফ রিপোর্টার: “তারুণ্যের জয় হোক, মানবতাবোধ জাগ্রত হোক” এই স্লোগানে শেরপুরে প্রথমবারের মত চালু হলো মানবতার দেয়াল। শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শেরপুরের কিছু উদ্যমী তরুণের উদ্যোগে শহরের বটতলায় শেরপুর পৌরসভার গেইটের বিপরীত পাশে ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে চালু হলো এই মানবতার দেয়াল। এখানে যে কেউ তার অপ্রয়োজনীয় কাপড় রেখে যেতে পারবেন, আবার শীতার্ত ও দরিদ্র যে কেউ নিজের প্রয়োজনে এখান থেকে কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন।
শেরপুর মুক্ত দিবসের বিকেলে শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন মানবতার দেয়ালের উদ্বোধন করেন। এসময় সমাজকর্মী রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জনউদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকারকর্মী শামীম হোসেন, শিক্ষক নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই মানবতার দেয়ালের উদ্যোক্তা সুমন সুহানুর, শেরপুর গ্র্যাজুয়েট ক্লাবের সভাপতি আল আমিন রাজু, মিনহাজ উদ্দিন, রইছ উদ্দিন হৃদয়, হাসিবুল হাসান শান্ত, সামিহা নওশীনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মানবতার দেয়ালে ‘আপনার অপ্রয়োজনীয় বস্ত্র রেখে যান, প্রয়োজনীয় বস্ত্র এখান থেকে নিয়ে যান’ এমন লেখাযুক্ত দেয়ালে হ্যাঙ্গারে ঝুলানো রয়েছে প্যান্ট, শার্ট, গেঞ্জি,শীতের কাপড়। কেউ বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নিজের অপ্রয়োজনীয় কয়েকটি কাপড় এখানে রেখে যাচ্ছেন সমাজের দরিদ্র বা নি¤œবিত্তদের জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরপুর জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের অনুপ্রেরণায় স্থাপিত নজড়কাড়া উদ্যোগটি ইতোমধ্যে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
মানবতার দেয়ালের উদ্যোক্তারা বলেন, দেশে হাজার ধরনের সমস্যা আছে। শুধু রাষ্ট্র তথা সরকারের পক্ষে এত সমস্যার সমাধান করা কঠিন। যেকোনো জাতীয় সমস্যা মোকাবিলায় ব্যক্তির অংশগ্রহণ জরুরি। ব্যক্তি যখন সংগঠিত হয় তখন বড় বড় সমস্যা সহজেই উতরে যাওয়া সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে তরুণসমাজ। যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বড় কোনো সংকট মোকাবিলায় তরুণরাা যদি সংঘবদ্ধ হয়, তাহলে সেটি জাতির মনোবল অনেক বাড়িয়ে দেয়।
‘মানবতার দেয়াল’ শীর্ষক এই কার্যক্রমের মধ্যে তারুণ্যের যে ঐকতান শুরু হয়েছে, সেটি আশাবহ। এই কার্যক্রম শুধু সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র বা সাধারণ পোশাক পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং জনগুরুত্বসম্পন্ন আরও অনেক বিষয় এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে।