স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন কার ভাগ্যে জুটছে- এ প্রশ্নই এখন অনেকের মুখে মুখে। ৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একেএম নুরুল হুদার উপস্থিতিতে আপিল শুনানী শেষে বিএনপি প্রার্থী একেএম মোখলেসুর রহমান রিপন টিকে যাওয়ায় এখন এ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী ফের ৩ জনই থাকায় ঘুরে-ফিরে সেই প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে।
জানা যায়, শেরপুর-২ আসনে প্রথমে নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক একেএম মোখলেসুর রহমান রিপনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, সাবেক সচিব ব্যারিস্টার এম হায়দার আলীকে এবং নানা নাটকীয়তায় সর্বশেষ প্রয়াত হুইপ জাহেদ আলী চৌধুরীর পুত্র, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরীকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে মনোনয়নপত্র বাছাইকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে করা পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার চিঠি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় রিপনের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। আর বাছাইয়ে টিকে যান হায়দার আলী ও ফাহিম চৌধুরী। ওই অবস্থায় টিকে যাওয়া দু’জনের মধ্যে নালিতাবাড়ী ও নকলা বিএনপির নেতারা যৌথ সভা ও এক সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম চৌধুরীকে একক মনোনয়ন না দিলে গণপদত্যাগের হুমকি দেন। অবশেষে প্রার্থীর সংখ্যা ৩ জনই থেকে যাওয়ায় একক মনোনয়ন বা চূড়ান্ত মনোনয়ন নিশ্চিত করতে শেষ মুহূর্তের লবিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
