শ্যামলবাংলা ডেস্ক : প্রতিবন্ধীদের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিলো, কয়েকদিন পরপরই আন্দোলন হতো। তাই কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলেও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে নতুন নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবন্ধীদের ভেতরের শক্তি ও মেধাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা সব সময় বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণ অর্জন করে। প্রতিবন্ধীদের ভেতর যে শক্তি আছে, যে মেধা আছে তা যেন ব্যবহার করতে পারি। তাদের অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। অবহেলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিবন্ধীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না। আমরা যেন তাদের অবহেলা না করি, মানুষ হিসেবে তাদের যে অধিকার তা যেন দিতে পারি। এ সময় দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলাসহ অন্যান্য সৃজনশীল কাজে উৎসাহ প্রদানে ও সহায়তা করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আন্তরিক প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
প্রতিবন্ধীদের যাতায়াত সহজ করতে ভবিষ্যতে সব ধরনের স্থাপনা প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতবান্ধব করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা যাতে সহজে যাতায়াত করতে পারে সে জন্য সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব স্থাপনায় তাদের উপযোগী টয়লেটসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধীকে বর্তমানে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই মোবাইলফোনের মাধ্যমে তাদের এই ভাতা পৌঁছে দেওয়ার সহজ ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
