ads

শনিবার , ১ ডিসেম্বর ২০১৮ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বীর প্রতীক তারামন বিবি আর নেই

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
ডিসেম্বর ১, ২০১৮ ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

কুড়িগ্রাম : বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৩০ নভেম্বর শুক্রবার রাত ১টা ২৭ মিনিটে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়ার নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তারামন বিবির বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। স্বামী আবুল মজিদ, পুত্র আবু তাহের ও কন্যা মাজেদা খাতুনসহ আত্মীয়স্বজন ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। তারামন বিবির ছেলে আবু তাহের ওই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার বাদ জোহর তার মরদেহ বাড়ির পাশে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তারামন বিবির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরপর দু’বার যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ায় তার দু’টি ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। এ অবস্থায় গত ৮ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তারামন বিবিকে প্রথমে ময়মনসিংহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেদিনই বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। এ অবস্থায় তিনি সেখানে থাকতে অনিচ্ছা প্রকাশ করায় বন্ড স্বাক্ষর করে গত ২২ নভেম্বর তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। এখানে শুক্রবার রাতে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাত ১ টা ২৭ মিনিটের দিকে মারা যান।
কুড়িগ্রামের শংকর মাধবপুরে ১১ নম্বর সেক্টরে কমান্ডার আবু তাহেরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তারামন বিবি। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা, তাদের অস্ত্র লুকিয়ে রাখা, পাকিস্তানিদের খবর সংগ্রহের পাশাপাশি অস্ত্র হাতে সম্মুখ যুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত দু’জন নারীর মধ্যে একজন হচ্ছেন তারামন বিবি। এই খেতাব প্রাপ্তির কথা দীর্ঘ ২৫ বছর জানতে পারেননি তিনি। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বীর প্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয় তার হাতে।

Need Ads
error: কপি হবে না!