জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর ॥ ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৬ মাসব্যাপী উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয়েছে। ১৭ নভেম্বর শনিবার সকালে শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে আয়োজিত বিশাল মঞ্চে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ওই উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ।
পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন সচিব আব্দুস সামাদ, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) দিলদার আহমেদ, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) মোঃ মাহবুব হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, এলজিইডির ইউজিআইআইপি-৩’র প্রকল্প পরিচালক একেএম রেজাউল করিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রাচার প্রধান শহীদুল ইসলাম, শেরপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ছারওয়ার জাহান, নকলা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, নালিতাবাড়ী পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক বাক্কার, শ্রীবরদী পৌর মেয়র আবু সাইদ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, চেম্বার সভাপতি মোঃ মাছুদ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান মোহন, জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া মঞ্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পংকজ কুমার পালসহ স্থানীয় রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের হাতে শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তির সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উদ্বোধনী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। এরপর শেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও প্রয়াত পৌর মেয়রদের স্মরণে শোকবার্তা পাঠ করেন প্যানেল মেয়র আতিউর রহমান মিতুল। অনুষ্ঠানে দর্শকসারিতে শেরপুরের বিশিষ্ট নাগরিকগণসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রাচীনতম শেরপুর পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শহরকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। মোড়ে মোড়ে উঠেছে তোরণ। আর আলোকসজ্জায় আলোকিত হয়ে উঠেছে শহরের স্থাপনাগুলো।