শ্যামলবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ শেষ হয়েছে। ৭ নভেম্বর বুধবার সকালে গণভবনের ব্যাংকোয়েট হলে শুরু হওয়া ওই সংলাপে দু’পক্ষের ১১ জন করে মোট ২২ জন অংশ নেন। সংলাপে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ সদস্যের উপদেষ্টা নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে’- জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমন প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সংলাপে উপস্থিত একাধিক সূত্র ওই তথ্য জানিয়েছে।
সংলাপে উপস্থিত সূত্রের তথ্যমতে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা সংলাপে গণভবনে এসে লিখিতভাবে প্রস্তাব দেয়। তবে আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দেয়। সূত্র জানায়, ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, এটা সংবিধান সম্মত নয়। এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষের ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দ্বিতীয় দফা সংলাপে সংসদ ভেঙে দেয়া, খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংবিধান পরিপন্থী ও সাংঘর্ষিক কিছু বক্তব্য তারা নিয়ে এসেছেন, যেটা গ্রহণযোগ্য নয়। সংলাপ এখানে শেষ। শিডিউল ঘোষণার পর তারা যদি কোনো ব্যাপারে আবার বসতে চান, আপত্তি নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, তারা আরও দাবি উপস্থাপন করেছেন। আমরা বলেছি, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তারা আরও সংলাপের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও শরিক ২৩ নেতার সাড়ে তিন ঘণ্টার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। সাত দফা দাবির বিষয়ে সমাধান না আসায় ‘সীমিত’ পরিসরে দ্বিতীয় দফার সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।