স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবি আদায়ে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও ৪৮ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে ২৮ অক্টোবর রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ওই ধর্মঘটে জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সকল চালক ও শ্রমিক যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। ওই ধর্মঘটের প্রথম দিন রবিবার সকাল থেকেই শহরের উপকণ্ঠের নবীনগর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও বাগরাকসা টার্মিনাল থেকে স্থানীয় রুটসহ আন্তঃজেলা রুটে কোন দুরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীদের বাস টার্মিনালে গিয়ে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে না পেরে ফিরে যেতে দেখা যায় এবং এতে করে ওইসব যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।
শেরপুর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। সেই দাবি গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে সরকার আইন পাস করলেও বেশ কিছু ধারা শ্রমিক স্বার্থে বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে কারণে পরিবহন শ্রমিকদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনে সড়ক দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে গণ্য না করে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আমরা জানি দুর্ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটে না, কিন্তু অপরাধ পরিকল্পিতভাবেই ঘটে।
পরিবহন শ্রমিকদের ৮ দফা দাবি হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে, শ্রমিকদের অর্থ- ৫ লাখ টাকা করা যাবে না, সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করতে হবে, ওয়েটস্কেলে (ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে, সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকদের নিয়োগপত্র সংশি¬ষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে, সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।