শ্যামলবাংলা ডেস্ক : কোরবানির হাটে দেশি-বিদেশি গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও রবিবার পর্যন্ত বেচাকেনা তেমনভাবে জমেনি, এমনকি দামও চড়া-ই রয়েছে। শেষ দুই দিনের আশায় বিক্রেতারা বসে আছে, আবার ক্রেতারাও হাটে ভিড়ছে কম। অনেকেরই ধারণা, এবার গরুর সরবরাহ বেশি থাকায় শেষ দিনে দাম কম থাকতে পারে। আবার শহর এলাকায় গরুর রক্ষণাবেক্ষণও ঝামেলাপূর্ণ হওয়ায় আগেভাগে গরু না কেনার পক্ষেই বেশির ভাগ মানুষ। তবে অনেকে গরু না কিনলেও গত দুই-তিন দিনে হাটে হাটে ঘুরে দামদর দেখেছে। যদিও আজ সোমবার থেকে কেনাবেচা জমে উঠবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। শুধু ঢাকাতেই নয়, ঢাকার বাইরের হাটগুলোতেও একই অবস্থা দেখা গেছে।
ঢাকার পাশেই গাজীপুর মহানগরীর পশুর হাটগুলোতে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। দুটি স্থায়ী ও ২০টি অস্থায়ী মিলিয়ে গাজীপুর মহানগরীতে পশুর হাট বসেছে ২২টি।
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের হোসেন আলী জানান, ২৫টি গরু নিয়ে শনিবার গাজীপুরে আসেন। এর মধ্যে ১৫টি বড় আকৃতির। বাকিগুলো মাঝারি। এ পর্যন্ত যে চারটি গরু বিক্রি হয়েছে তার সবই মাঝারি। তিনি বড় গরুর প্রতিটি দুই লাখ ২০ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকা করে দাম চাচ্ছেন। ক্রেতা ৫৫-৬০ হাজার করে দাম করছে। ক্রেতাও আছে, তবে কেনাবেচা কম।
