স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে শেফালী বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। ৯ জুলাই সোমবার রাতে গৃহবধূর বাবা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে পাষ- স্বামী লাভলু মিয়া (৩০), তার বাবা-মা ও ভাইসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রধান আসামী স্বামী বা অন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে সদর উপজেলার হাতিআগলা গ্রামের বাসচালক লাভলুর সঙ্গে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বালিহালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে শেফালীর বিয়ে হয়। তারা সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারের একটি ভাড়া বাসায় থাকতো। কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় লাভলু স্ত্রী শেফালীকে বেদম মারধর এবং তলপেটে লাথি মেরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শেফালীকে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায় লাভলু। পরে সোমবার সকালে শেফালী ওই হাসপাতালেই মারা যায়। কিন্তু শেফালীর লাশ গ্রহণ না করে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার স্বজনরা। পরে থানা পুলিশ শেফালীর লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ওই মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুরতহাল ও ময়নাতন্ত রিপোর্টে ওই গৃহবধূর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রধান আসামী স্বামী লাভলুসহ অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।