স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরে নার্সিং হোমে মাথা জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম হয়েছে। ৭ জুলাই শনিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের মাধবপুর এলাকায় ফ্যামিলি নার্সিং হোমে পৌর শহরের চাপাতলী এলাকার গরিব রিকশাচালক রুবেল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম (২১) মাথা জোড়া লাগা ওই যমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেন।

শেরপুরের সিনিয়র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতককে ভূমিষ্ঠ করাতে সক্ষম হন। ওই যমজ শিশুর মা আরও কিছুটা সুস্থ্য হলেই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু দু’জনকে খুব দ্রুতই ঢাকায় পাঠানো হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রসূতির স্বজনরা জানান, কয়েকদিন আগে শিশু দু’টির মাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই নারীর গর্ভে এমন শিশু রয়েছে জানতে পেরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করলে ওই নারীর বাবা আমিনুল ইসলাম মেয়েকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ফেরত এনে শেরপুরের ফ্যামিলি নার্সিং হোমে ভর্তি করালে বিস্তারিত জেনে ওই নার্সিং হোমের স্বত্বাধিকারী ডাঃ এম এ বারেক তোতা ওই নারীর সিজারিয়ান অপারেশন করানোর প্রস্তুতি নেন। পরে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আব্দুল গণি সিজারের মাধ্যমে সফলভাবে কোন ধরনের জটিলতা ছাড়াই ওই মাথা জোড়া লাগা যমজ নবজাতককে ভূমিস্ট করাতে সক্ষম হন। তবে ও শিশু দুটিকে নিয়ে চিন্তায় পড়েছে তাদের স্বজনরা। তারা এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চান।
প্রতিবেশীরাও মানবিক কারণে এ শিশু দুটির চিকিৎসা ও সুস্থ্য রাখতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন।
ফ্যামিলি নার্সিং হোমে প্রতিষ্ঠাতা ও চিকিৎসক ডাক্তার এম এ বারেক তোতা, জানান এ শিশু দুটির জয়েন্ট ছাড়াতে অনেক টাকার প্রয়োজন। সরকারের সহায়তা ছাড়া আর মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া চিকিৎসা দেয়া সম্ভব না।
সচেতন মহলও চান শিশু দুটির চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকার এগিয়ে আসবেন।
