ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের কসাইপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে কুলসুম বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূর হাত কেটে দেয়ার অভিযোগে স্বামীসহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। ৩ জুলাই কুলসুম বেগম বাদি হয়ে তার স্বামী লিটন মিয়া (২৫) ও ভাই রিপন (৩৫), উজ্জল মিয়া (৪২), নুর ইসলাম (৪৭), শফিকুল ইসলাম (৪০),ও রবি মিয়া (৫০)কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আলমগীর কিবরিয়া কামরুল জানান, প্রায় এক বছর আগে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের কসাইপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার সাথে শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের বাদাতেঘরিয়া গ্রামের মৃত চান মিয়ার কন্যা কুলসুম বেগমের বিয়ে হয়। কিন্ত বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কুলসুমের উপর নেমে আসে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকদের অমানুসিক নির্যাতন। কুলসুম তার স্বামীর যৌতুকের দাবি পুরন করতে না পারায় গৃহবধু কুলসুমকে দিয়ে তার স্বামী দেহ ব্যবসা করানোর চেষ্টা করে। স্বামীর কথামতো দেহ ব্যবসায় রাজি না হলে গত ১৩ জুন বিকেলে কুলসুমের স্বামী লিটন মিয়া ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা কুলসুমের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে লিটন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুলসুমের ডান হাতের কব্জির উপর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। মূমুর্ষ অবস্থায় কুলসুমকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে কুলসুম বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করে।
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘটনার বিষয়ে নালিশী মামলায় আদালতের নির্দেশের কপি পেয়েছি। দ্রুতই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।