স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুণী শিক্ষাবিদ, কবি ও শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ বসু’র চাকুরী জীবনের অবসান উপলক্ষে তাকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ৩০ জুন শনিবার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মুক্তমঞ্চে আয়োজিত ওই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন। ‘জীবন স্যার’ নামে সমধিক পরিচিত বিদায়ী ওই শিক্ষককে অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী এবং সহকর্মী শিক্ষকরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। ওইসময় জীবন কৃষ্ণ বসু ও তার পরিবারের সদস্যদের হাতে নানা উপহার-উপঢৌকন তুলে দেন প্রিয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। সকলেই তাকে অশ্রসজল চোখে বিদায় জানান। এছাড়া অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জীবন কৃষ্ণ বসুর কর্মময় জীবন, প্রশাসন পরিচালনায় দক্ষতা, কাব্যপ্রতিভা, সহকর্মীদের প্রতি সদাচরণ, সর্বোপরি পাঠদানের কুশলতা, সৃজনশীলতা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ আচরনের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
সংবর্ধনার জবাবে বক্তব্য দিতে গিয়ে জীবন কৃষ্ণ বসু আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি শিক্ষকতা জীবনের নানা অভিজ্ঞতা এবং মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা পাওয়ার নানা ঘটনা বর্ণনা করে স্বার্থক জনম বলে উল্লেখ করেন। তিনি ‘হে বন্ধু বিদায়’ নামে স্বরচিত একটি কবিতা পাঠ করে বক্তব্য শেষ করেন। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জীবন কৃষ্ণ বসুকে উৎসর্গ করে ‘কিশলয়’ নামে প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ উদ্দিন ও সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমীর প্রধান শিক্ষক মো. রেজুয়ান। ওইসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান শিক্ষক রনজিৎ কুমার হোড়, কবি তালাত মাহমুদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা জীবন কৃষ্ণ বসু ১৯৮৩ সালে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। মাঝখানে কয়েক বছর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমীতে দায়িত্ব পালন শেষে পরবর্তিতে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে ফের পুরনো প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। পরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদালয়ে থেকে যান। ৩০ জুন শনিবার শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই তিনি অবসরে যান। ২ সন্তানের জনক জীবন কৃষ্ণ বসু শেরপুরেই বিয়ে করে থিতু হয়েছেন।
