শ্যামলবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৩ জুন শনিবার সকাল ১০টায় গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ৮ কাঠা জায়গার ওপর ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে এ ভবন। পুরো কার্যালয়টি থাকবে ওয়াইফাই জোনের আওতায়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নতুন কার্যালয়ের চাবি তুলে দেন।
নতুন ভবনে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য রাখা হয়েছে সুপরিসর কক্ষ। দলের সভাপতির কক্ষের সঙ্গে রয়েছে বিশ্রামাগার ও নামাজের জায়গা। ভবনটির ছয় বা সাততলা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অফিস থাকবে।
এ ছাড়া ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, সাংবাদিক লাউঞ্জ, ডরমিটরি ও ক্যান্টিন থাকছে। দুপাশ কাচ দিয়ে ঘেরা। এ ছাড়া দুটি স্বতন্ত্র কারপার্কিং, একাধিক লিফট, সিঁড়ি, অগ্নিপ্রতিরোধ ব্যবস্থা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের পুরনো অফিস ২৩, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের চারতলা ভবনটি লিজ গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয় ২০১১ সালে। এর পর দলটি নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
পরে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল নতুন কার্যালয়ের নতুন ভবনের নকশা অনুমোদন দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৭ জুলাই পুরনো স্থাপনা ভাঙা শুরু হয়। রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের ১০তলা আধুনিক কার্যালয়টির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয় গত বছরের ২৩ জুন।
ভবনটির প্রথম থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত প্রতিটি ফ্লোর ৪ হাজার ১০০ বর্গফুট। চতুর্থতলা থেকে ওপরের সব কটি ৩ হাজার ১০০ বর্গফুটের।
কার্যালয়ের সামনে স্টিলের বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। পাশেই দলীয় প্রতীক নৌকা। সবার ওপরে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। এর পর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ম্যুরাল। দুই পাশ কাচ দিয়ে ঘেরা।
ভবনটির সামনের দেয়ালজুড়ে দলের সাইনবোর্ডসহ দলীয় স্লোগান ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, চার মূলনীতি খোদাই করে লেখা। ভবনের সামনে-পেছনে ছেড়ে দেয়া জায়গায় আছে বাগান।
