স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে এলাকা থেকে কেটে পড়েছে স্থানীয় মাদক ব্যবসা সিন্ডিকেটের রাঘব-বোয়ালরা। যে কারণে শনিবার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিঁচকে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীসহ ৬৯ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও আটক করা সম্ভব হয়নি বড় ধরনের কোন মাদক ব্যবসায়ী বা গডফাদারকে। অভিযান, পাকড়াও ও ক্রসফায়ারের আশঙ্কায় তাদের অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে- এমন ধারণাই সংশ্লিষ্টদের।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, জেলা সদর ও সীমান্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে মাদকের রমরমা কারবার। ভারতীয় মদ-ফেনসিডিল, গাঁজা ও হেরোইনের পাশাপাশি ওই কারবারে প্রায় ২ বছর যাবত যোগ হয়েছে ইয়াবা। বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের মাঝে ইয়াবাই এখন অন্যতম প্রধান মাদক। থানা পুলিশ, র্যাব ও ডিবিসহ বিজিবির অভিযানে কালে-ভদ্রে কিছু ছিঁচকে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী গ্রেফতার হলেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আওতায় অভিযান-গ্রেফতার প্রায় একেবারেই শূন্য। যে কারণে দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না মাদকের ভয়াল থাবা। বিশেষ করে ইয়াবা আর হেরোইনের ছোবলে নিঃশেষ হচ্ছে ছাত্র-যুবকসহ সাধারণ থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের অনেক সন্তান। আর এর পেছনে অর্থাৎ মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রভাবশালী মহল বা দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির ছত্রছায়ায় থাকা কিছু গডফাদার কাজ করলেও তারা একেবারেই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। কাজেই এবারের মাদকবিরোধী অভিযানে সেইসব রাঘব-বোয়ালরা আইনের আওতায় আসবে এবং মাদক সিন্ডিকেট বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে- স্থানীয় অনেকেই এমনটা আশা করলেও আদৌ তা সফল হবে কি না তা নিয়ে সচেতন মহলে রয়েছে সংশয়।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশক্রমে জেলায় মাদক বিরোধী অভিযানের আওতায় ৪ দিনে ৬৯ জনকে গ্রেফতারসহ ইয়াবা, হেরোইন, মদ ও গাঁজাসহ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণকারী বা ওই ব্যবসার সাথে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযানের খবর শুনেই তারা লাপাত্তা হয়েছে। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হলে অবশ্যই অভিযানে পাকড়াও করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।