শ্যামলবাংলা ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বের প্রথম ভাসমান পরমাণু স্থাপনার উদ্বোধন করেছে। শনিবার রাশিয়ার দূরবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় মারমানস্ক বন্দরে এ পরমাণু স্থাপনা উদ্বোধন করা হয়। স্থাপনাটি সেখান থেকে পরমাণু জ্বালানি ভর্তি করে পূর্বাঞ্চলীয় সাইবেরিয়ার দিকে যাত্রা করবে।
আকাদেমিক লোমোনোসভ নামের এ স্থাপনা সেইন্টপিটার্সবার্গে তৈরি হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার এটা মারমনস্ক বন্দরে পৌঁছায়। শনিবার সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।
রাষ্ট্রীয় পরমাণু প্রতিষ্ঠান রোজাটম এ স্থাপনা তৈরি করেছে যার দৈর্ঘ ১৪৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটার।
স্থাপনায় একটি জাহাজের ওপর স্থাপনাটি নির্মিত যাতে দুটি চুল্লি রয়েছে। চুল্লির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট এবং জাহাজটি অনেকটা আইসব্রেকার শিপের মতো। ২১ হাজার টন ওজনের এ পরমাণু স্থাপনাটি ২০১৯ সালের গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত রাশিয়ার সর্বউত্তরের পেভেক বন্দরে অবস্থান করবে। আর্কটিক সার্কেল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার উত্তরে ওই বন্দরের অবস্থান।
পরমাণু স্থাপনাটি থেকে একটি শহরের দুই লাখ বাসিন্দার বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে পেভেক বন্দরে মাত্র পাঁচ হাজার বসিন্দা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জাহাজটিকে আর্কটিক এলাকায় তেল খনির কূপ খননকাজে ব্যবহার করা হবে।
পরমাণু স্থাপনার প্রধান দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ভিতালি ত্রুতনেভ জানান, এটা প্রধানত উত্তরাঞ্চলীয় দুর্গম এলাকার লোকজনের জন্য বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহের কাজ করবে। এছাড়া, প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে সমর্থন দেবে এ স্থাপনা।
