শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অভিযোগগুলো তদন্ত করে প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগগুলো অনুসন্ধান হবে, তদন্ত হবে- এরপর অভিযোগের সত্যতা পেলে মামলা হবে। বিষয়টি আইন অনুযায়ীই এগুবে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ১৫ অক্টোবর রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদিকদের তিনি ওইসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায়। তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন এগুলো তদন্ত কে করবে।’
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি ছুটি ও বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিতর্কের যুক্তিসংগত কোনো কারণ নেই। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়ায় একটি মহল উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক উদ্দেশেই তাদের মায়া কান্না।
প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা, ছুটি চাওয়া, বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়সংক্রান্ত সব আবেদন ও চিঠিপত্র পড়ে শোনান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এসব আবেদন ও চিঠিপত্রে প্রধান বিচারপতি তার অসুস্থতার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। ‘কিন্তু বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি বলেছেন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তার এ বক্তব্যে আমি হতভম্ব।’
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হলো কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আইন অনুযায়ী বিচারপতি সিনহা এখনও প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি পদটি একটি প্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক পদ। ফলে তার বিরুদ্ধে তাড়াহুড়ো বা খামখেয়ালি করে কিছু করা সমীচীন হবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বেঞ্চের ৫ জন বিচারক প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুরাহা না পর্যন্ত তার সঙ্গে বিচার কাজে বসবেন না বলে জানিয়েছেন। সুতরাং তিনি দেশে ফিরে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন কিনা তা এখানে স্পষ্ট। কারণ তিনি তো আর একা বেঞ্চ চালাতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনীতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। আমার মনে হয় এটি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিষয় নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা ১১টি অভিযোগের সুরাহা না হবে ততদিন এ সমস্যার সমাধান হবে না।’
