স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের ৯ স্থানে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ পড়া হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঈদের আগাম নামাজ আদায় করলেও আগামীকাল শনিবার সমাজের অন্যদের সাথে মিল রেখে পশু কোরবানি করবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মুসল্লিরা।
শেরপুর সদরের উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, মুন্সীরচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া গ্রামে পৃথকভাবে ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামেও ঈদের আগাম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ওই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন মো. সারোয়ার জাহান। এখানে মহিলারাও ঈদের নামাজে অংশ নেন। ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল গ্রামে আরও একটি আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী মধ্যপাড়া গ্রামে নারী-পুরুষের মাঝখানে পর্দা দিয়ে একসাথে অনুষ্ঠিত হয় ঈদ জামাত। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মোতালেব। একই উপজেলার গোবিন্দনগর চিনামারা গ্রামে আরও একটি আগাম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুফতি হাফিজুল ইসলাম ইমামতি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এসব পৃথক স্থানে মুসল্লিরা পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কোন কোন ঈদের জামাতে ৫০/৬০ জন এবং কোথাও ২৫০/৩০০ জন করে লোক অংশ নেয়। ওইসব জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও পর্দা করে নামাজে অংশ নেন। নামাজের পর কোলাকুলি শেষে তারা প্রীতিভোজে অংশ নেন।
নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামের ঈদ জামাতের ইমাম মো. সারোয়ার জাহান বলেন, আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রমজান মাসের রোজা এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করে থাকি।
বিগত কয়েক বছর যাবত শেরপুরের এসব এলাকায় নিজেদের আহলে হাদীস অনুসারি ও পীরভক্ত বলে দাবিদার কিছু লোক সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে ২ ঈদ ও রমজানের রোজা পালন করে আসছেন।
