স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেরপুরের সদর উপজেলার পূর্বকুমরী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৩) অপহরণের অভিযোগে আব্দুল মজিদ ওরফে লুদু (৫৪) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আদালত আসামি মজিদকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- দেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আরেক আসামি হাবিবুর রহমানকে আদালত খালাস প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের চককুমরী গ্রামের মৃত কালু সেকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে রবিবার বিকেলে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে পূর্বকুমরী গ্রামে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে দ-প্রাপ্ত আসামি আব্দুল মজিদ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তিনি (মজিদ) ছাত্রীটিকে বিভিন্নস্থানে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে মজিদ ও হাবিবুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ বিভিন্নস্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে ওই বছরের ৯ আগস্ট মজিদের হেফাজত থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে।
পরে মামলার তদন্তশেষে ২০০৮ সালের ৩০ আগস্ট সদর থানার তৎকালিন উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল চন্দ্র সরকার আসামি মজিদ ও হাবিবুরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণশেষে আদালত ওই আদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বুলু ও আসামিপক্ষে আব্দুল মজিদ বাদল মামলাটি পরিচালনা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, তাঁরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ বাদল বলেন, বিচার সঠিক হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
