ads

বুধবার , ২৬ জুলাই ২০১৭ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

বাহুবলে ৪ শিশু হত্যায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জুলাই ২৬, ২০১৭ ১:৫২ অপরাহ্ণ

শ্যামলবাংলা ডেস্ক : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ২ আসামিকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। ২৬ জুলাই বুধবার ১১ টা ৩৫ মিনিটে সিলেটে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান ওই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রুবেল মিয়া, উস্তার মিয়া ও হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান, ৩০২ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি রুবেল মিয়া, উস্তার মিয়া ও হাবিবুর রহমানের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া জুয়েল মিয়া ও শাহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় গুমের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল মিয়া নিরপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামের একজন র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামের মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আবদুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)। মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।
এদিকে ঘটনার পরদিন বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জাকারিয়া শুভ’র বাবা ওয়াহিদ মিয়া। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাহুবল থানায় অপর আরেকটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন মনিরের বাবা আব্দাল মিয়া।
১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী বালুর মাঠ থেকে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপরই অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গৃহীত হয়। ঘটনার দিনই গ্রেফতার করা হয় গ্রামের একটি পঞ্চায়েতের সর্দার আবদুল আলী বাগালকে। এরপর একে একে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে গ্রাম্য পঞ্চায়েত নিয়ে বিরোধের জের ধরে খুন হয় ওই ৪ শিশু। তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ এপ্রিল নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন। এর মধ্যে বাচ্চু মিয়া নামে এক আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
এছাড়া গ্রেফতারকৃত সালেহ আহমেদ ও তার ভাই বশির আহমেদের নাম তদন্তে না আসায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
বর্তমানে কারাগারে আছেন মামলার প্রধান আসামি আবদুল আলী বাগাল, তার ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া, ভাতিজা সাহেদ ওরফে সায়েদ ও অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান আরজু। মামলায় পলাতক রয়েছেন আসামি উস্তার মিয়া, বেলাল মিয়া ও বাবুল মিয়া।
সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আবদুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে এসেছে।
হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে গেল বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচার কার্য শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। চলতি বছরের গত ১৫ মার্চে মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরও সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া মাধ্যমে মোট ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, আদালতে স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং অন্যান্য প্রমাণ হাজির করে সরকারপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন তিনি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!