শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে মঙ্গলবার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে ৬ জন, বান্দরবানের লামায় একজন ও রাঙ্গামাটিতে ২ জন রয়েছে।
কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরায় মঙ্গলবার কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন গাছ চাপা পড়ে ও একজন আতঙ্কে মারা গেছে বলে জানা গেছে। গাছ চাপা পড়ে নিহত ২ জন হলেন- চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার পূর্ব ডোমখালীর রহমত উল্লাহ (৫০) এবং একই উপজেলার পূর্ব বড়হেউলা ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার সায়েরা খাতুন (৬০)। অন্যদিকে কক্সবাজার পৌরসভার নুনিয়াচটা আশ্রয়কেন্দ্রে মরিয়ম বেগম (৫৫) আতঙ্কে মারা গেছেন।
লামা সংবাদদাতা জানান, বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যভিটায় ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে গাছ চাপায় কেচিং থোয়াই (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে গাছ চাপায় আহত হলে কেচিং থোয়াইকে লামা হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। কেচিং থোয়াই বৈদ্যভিটার অংবাইথোয়াইয়ের ছেলে। রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মো. আবু তাহের ঘূর্ণিঝড়ে গাছ চাপায় নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে বসত ঘরের ওপর গাছ পড়ে রাঙ্গামাটি শহরে স্কুলছাত্রী জাহিদা সুলতানা নাহিমা (১৪) ও হাজেরা বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ‘মোরা’ শুরু হলে শহরের ভেদভেদী ও আসামবস্তী এলাকায় বসত ঘরের ওপর গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়লে গাছ চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই দুজন মারা যান। রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ শওকত আকবর খান ওই দুইজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
