ads

বুধবার , ১৩ জানুয়ারি ২০১৬ | ২৭শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

এবার মতিয়াকে বাদশা : আওয়ামী লীগার হওয়ার চেষ্টা করুন

শ্যামলবাংলা ডেস্ক
জানুয়ারি ১৩, ২০১৬ ৫:১৯ অপরাহ্ণ

Sherpur Matia-Badshaরেজাউল করিম বকুল, শেরপুর : এবার আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী-নকলা) আসনের সংসদ সদস্য, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে ‘আওয়ামী লীগার’ হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন গত জাতীয় নির্বাচনে একই আসনের বিদ্রোহী প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা। ১৩ জানুয়ারি বুধবার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি ওই অনুরোধ জানান।
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সাবেক মহাসচিব বাদশা ওই বিবৃতিতে দাবি করেন, মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ করা নেতা-কর্মীদের আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে মনস্তাত্বিক প্রতিবন্ধকতায় ভোগেন। ন্যাপ ও বাম ঘরানার লোকদের নিয়ে কাজ করতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তার অসহিষ্ণু আচরণের শিকার শেরপুরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক এমএলএ মরহুম নিজাম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্ণর মরহুম এডভোকেট আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক পৌরপতি মরহুম এডভোকেট আব্দুস সামাদ, সাবেক এমএলএ মরহুম ডাঃ নাদিরুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম অধ্যক্ষ আবু তাহেরসহ অনেকে দুঃখ-বেদনা নিয়ে আমাদেরকে ছেড়ে পরকালে চলে গেছেন। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য দিতে ব্যর্থ হয়ে সক্রিয় রাজনীতি করতে পারছেন না নকলার সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সাবেক পৌরপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল হালিম উকিল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান লেবু ও সাবেক এমএলএ আব্দুল হাকিম সরকারের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা সরকার গোলাম ফারুকসহ অনেক ত্যাগী নেতা-কর্মী।
মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রলীগের কোন কমিটি করতে দিচ্ছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এতে বর্তমান নেতৃত্ব যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনিভাবে ভবিষ্যত নেতৃত্ব সৃষ্টির সকল রাস্তা রুদ্ধ করে রেখেছেন। বদিউজ্জামান বাদশা বলেন, মতিয়া চৌধুরী নকলা-নালিতাবাড়ীতে আসার আগেই তিনি (বাদশা) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের (মান্নান-নানক) সহ-সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এরপর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পদে পদে বাধাগ্রস্তও হয়েছেন ছাত্রলীগের প্রতি তার নেতিবাচক মনোভাবের কারণে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তাদের প্রতি সদয় না হলে রাজনৈতিক অঙ্গণে টিকে থাকাই দুরূহ ছিল।
সাম্প্রতিক পৌর নির্বাচনে শেরপুর সদর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের প্রতি অসহযোগিতামূলক আচরণ সকলকে হতাশ করেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি ও নবনির্বাচিত পৌর মেয়র লিটনসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে এখন রুখে দাঁড়িয়েছেন। এটি ছিল সময়ের দাবি। জেলা আওয়ামী লীগসহ সকলেই মতিয়া চৌধুরীর ওই বিমাতাসূলভ আচরণের অবসান চায়। তাই মতিয়া চৌধুরীর প্রতি বাদশার অনুরোধ, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ ছেড়ে দিয়ে মনস্তাত্বিক বাধা দূর করে আওয়ামী পরিবারের সাথে একাত্ব হয়ে আওয়ামী লীগার হওয়ার চেষ্টা করুন।
উল্লেখ্য, এর আগে শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবহারের অভিযোগে ১ জানুয়ারি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিষোদগার করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপিসহ নেতৃবৃন্দ।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

error: কপি হবে না!