রেজাউল করিম বকুল শ্রীবরদী ॥ এবার দু’দলের ৩ জন প্রার্থী নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচন, ততই বাড়ছে শ্রীবরদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যস্ততা। এবার যেন আগেই শুরু হয়েছে উভয় দলের প্রার্থী ও কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক তোড়জোড়। প্রার্থীরা চেষ্টা করছেন আঞ্চলিকতার টান তুলে আনার। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে একত্রে নেমেছেন নির্বাচনী মাঠে। এ যেন তাদের দূর্গ উদ্ধারের প্রচেষ্টা। অপর দিকে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবু রায়হান আল বেরুনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এসেছেন নির্বাচনে। ইতোমধ্যে উভয় দলে হয়েছে একাধিক নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা। মাঠ দখলের মরিয়া দু’দলই। এতে নির্বাচনী আলাপ আর তর্ক-বিতর্কের ঝড় ওঠছে শহরের প্রত্যেকটি মহল্লা আর চায়ের স্টলগুলোতে। আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা আবু সাইদ গত নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আব্দুল হাকিমের কাছে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। কারণ হিসেবে ওঠে আসছে, আওয়ামী লীগে একাধিক প্রার্থী ছিল। এছাড়াও শহরের পূর্ব দণি এলাকায় প্রার্থী ছিল আরও দু’জন। যে কারণে তার পরাজয়ের একমাত্র কারণ বলে তুলে ধরেন অনেকে। তবে এবার একক প্রার্থী হওয়ায় আর বিএনপির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নামায় তারা নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে শতভাগ আশাবাদী। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রস্তুতি সভায় বক্তব্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বিজয়ী হলে এ পৌরসভা হবে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভা। এমনিভাবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তুলে ধরায় ভোটাররা সমর্থন দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের এ প্রাথীকে। অপরদিকে বিএনপির যেন অস্তিত্বের লড়াই। তারা চাচ্ছেন এ পদটি ধরে রাখার। তবে বিএনপির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আবু রায়হান আল বেরুনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় অনেকের হিসেব যেন বদলে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আবু রায়হান আল বেরুনি বলেন, দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী আমাকে সমর্থন দিয়েছে। এ জন্য আমি নির্বাচনে এসেছি। তিনি আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে এ পৌরসভাকে একটি দুর্নীতিমুক্ত পৌরসভা গড়ে তুলবো। ভোটারদেরও প্রত্যাশা, যে পৌরসভার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করবে, যে প্রত্যেকটি মহল্লায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেবে এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেনা, এবার তারা তাকেই ভোট দিবেন। উপজেলা নির্বাচন সূত্র জানান, কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে ৩৫জন ও সংরতি মহিলা আসনের ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন ১ নং ওয়ার্ডে আবিদ হোসেন নতুন, আলমগীর হোসেন, ইয়ানুছ আলী, মনোয়ার হোসেন মনু। ২ নং ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তুফা, আমিনুল ইসলাম, শাহ আলম, মনোয়ার হোসেন, ছামিউল হক। ৩ নং ওয়ার্ডের খোরশেদ আলম, আনিসুজ্জামান খোকন। ৪ নং ওয়ার্ডে আহমেদ আলী, ওয়াজেদ অলী, ফারুক মিয়া, আব্দুল কাদের, দুলাল মিয়া, তানভির হোসেন বাবুল। ৫ নং ওয়ার্ডে সেলিম মিয়া, ফরিদুজ্জামান। ৬ নং ওয়ার্ডে আশরাফুল আলম, মহির উদ্দিন। ৭ নং ওয়ার্ডে মাহমুদুল্লাহ, হাবিব উল্লাহ, শহিদুর রহমান, আমিরুজ্জামান। ৮ নং ওয়ার্ডে বিল্লাল হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন, রফিকুল ইলসাম, সাহেব আলী। ৯ নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলাম, গনি শেখ, মিজবাহ উদ্দিন, শাহ আলম। সংরতি মহিলা আসনে ১ নং ওয়ার্ডে আনোয়ারা, সালমা অক্তার, রুপালি। ২ন ং ওয়ার্ডে দোলোয়ারা, হালিমা, লিপি বেগম, জ্যোৎস্না বেগম, মাহেলা বেগম। ৩ নং ওয়ার্ডে নুরন নাহার, এলিজা বেগম, রাবেয়া বেগম।