রেজাউল করিম বকুল, শ্রীবরদী : ক’দিনের বন্যহাতির অব্যাহত তান্ডবে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী কর্ণঝোড়া, মেঘাদল ও রাজার পাহাড় এলাকায় তুলা ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে তুলা চাষীরা পড়েছেন চরম হতাশায়।
সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্ত এলাকার গারো পাহাড়ে তুলা চাষে লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা এ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। কারণ হিসেবে তারা জানান, এটি পরিত্যক্ত জমিতে চাষ করা যায়। এমনকি কম খরচে লাভ বেশি। এ স্বপ্ন দেখে এবার বেশ কয়েক জন কৃষক তুলা চাষ করেছেন। এখন প্রত্যেকটি তুলা গাছে এসেছে গুটি। আর ক’দিন পরেই তারা পাবেন প্রত্যাশিত ফসল। কিন্তু এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে বন্যহাতির তান্ডবে প্রায় সবকটি তুলা ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড জানায়, এবার তাদের সহযোগিতায় মারাকপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী, হাফিজুর রহমান, কর্ণঝোড়া গ্রামের তারেক রহমান, চান্দাপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দিলু, মঞ্জু মিয়া, বাবেলাকোনা গ্রামের ফোজিন মিয়া, মমেন মিয়া, মর্জিনা বেগম ও এরিনা বেগম তুলা চাষ করেছেন। তাদের কেউ এক একর, কেউবা দুই একর করে তুলা চাষ করেছেন। তারা দেখছেন লাভের স্বপ্ন। এর মধ্যে বন্যহাতির তান্ডবে তাদের প্রায় সবারই ক্ষেত একেবারেই বিনষ্ট হয়েছে। এতে তারা পড়েছেন চরম হতাশায়। তুলা চাষীদের দাবি, সরকারিভাবে তাদেরকে সহযোগিতা করা হলে আবার তারা তুলা চাষ করবেন। ফের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখবেন তারা।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা নুরল আলম বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক বন্যহাতির তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত তুলা ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। এতে প্রায় সবারই ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় চাষীরা সহযোগিতা পেলে আবারও তুলা চাষ করে তাদের প্রত্যাশিত ফসল পেতে পারেন।