শ্যামলবাংলা ডেস্ক : ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ইরান একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ ২২ ঘণ্টার সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে বুধবার বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ওই কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা ধর্মের নামে সন্ত্রাস, হত্যাকাণ্ড চালায় তারা ধর্মের বিরুদ্ধে। তাদের উদ্দেশ্য কোনো পক্ষের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা, ধার্মিক হওয়া নয়। এছাড়া অস্ত্র প্রয়োগ কিংবা যুদ্ধ নয়, আলোচনার টেবিলে বসে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতাই সিরিয়া, ইয়েমেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে স্থায়ী শান্তি আনবে বলেও মত দেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত সফরকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে তার সফর নিয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে ইরানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে যৌথভাবে কাজ করা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী শিগগিরই ইরান সফরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ইরান ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথ বাণ্যিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে আলোচনাও শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ইরান যৌথভাবে কাজ করবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে দুটি দেশই ধর্মের অন্তর্নিহিত শান্তির আদর্শে বিশ্বাসী, কোনো অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।
সংবাদ সম্মেলনে ইরানের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের সাম্প্রতিক পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কেও কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির ক্ষেত্রে ইরান নিজের অবস্থান ও নীতি অটুট রেখেছে এবং এক্ষেত্রে জনগণের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ চুক্তিতে কোনো পক্ষই হারেনি, বরং উভয়পক্ষই জয়ী হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভয়েজি উপস্থিত ছিলেন।