মো: মুসা,জাবি প্রতিনিধি: বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে ওরাল ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জারি ও অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান সুজা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি ও তরীর প্রধান উপদেষ্টা বশির আহমেদ ও পাবলিক হেলথ্ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবদুর রহমান।
প্রধান অতিথির ভাষনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেছেন, ‘ওরাল ক্যান্সারের পরিণতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।’
সেন্টার ফর ক্যান্সার প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ (সিসিপিআর), ফেন্ডস এসোসিয়েশন ফর মাল্টি সেক্টরাল এনরিচমেন্ট (এফএএমই), জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরী ও পাবলিক হেলথ্ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগ সহযোগিতায় ‘ওরাল ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহের’ পঞ্চম দিনের কর্মসূচি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তাগণ ওরাল ক্যান্সারের কারন, লক্ষণসমুহ, প্রতিকার ও জনসচেতনতা মুলক বক্তৃতা দেন।তাদের বক্তৃতায় বলেন, ‘বাংলাদেশে শতকরা ১১.৭ ভাগ পুরুষ এবং ৫.৫ ভাগ নারী ঠোঁটসহ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই রোগে মৃত্যুর হার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ৬.৬ ভাগ’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এফএমই’র সভাপতি মনিরুজ্জামান।তিনি সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ‘সচেতন হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ধূমপান বা তামাকের ব্যবহার এই রোগের প্রধান কারণ। ঝুঁকিপূর্ণ এইসব উপাদান এড়িয়ে চলার বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে’।
সেমিনার শেষে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফ্রি ডেন্টাল চেক-আপ করা হয়।
