শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ এবং পুলিশের মধ্যে ত্রি-মুখী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল ও সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায় সিটন সহ কমপক্ষে ৭ জন। ঘটেছে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ৮ রাউন্ড টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ১৮ জানুয়ারী দুপুর ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের এই ঘটনা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনও চলছে উত্তেজনা। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন,ছাত্রলীগধারী বহিরাগতদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালীন আক্রমনের শিকার হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটার জালিয়াতিতে সহায়তা করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায় সিটন ও আবাসিক হল ডি ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন ৩ ছাত্র নেতাকে বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যায় কতর্ৃৃপক্ষ। এনিয়ে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)র ভিসির অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ,মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অব্যাহত রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগর একটি অংশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীতকালীন ছুঁটির পাশাপাশি ২ দফা বিশ্ববিদ্যায় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর গত বুধবার বহিস্কৃত শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্চিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক। এ নিয়ে আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রলীগের একটি একটি গ্রুপ। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)র ভিসির অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় বহিস্কৃত ছাত্র নেতাসহ ছাত্রলীগর একটি অংশ। দুপুর একটায় বাক-বিতন্ডতা থেকে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশেও জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৭ জন। ঘটেছে,ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা। দুপুর ১ টা থেকে ২টা পর্যন্ত প্রায় ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের এই ঘটনা। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনও চলছে উত্তেজনা। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে। আহতদের দিনাজপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল জানিয়েছেন,তাদের শন্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা চালিয়েছে ভিসি’র পেটুয়া বাহিনী। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,ছাত্রলীগধারী বহিরাগতদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে গিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলাকালীন আক্রমনের শিকার হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
