স্টাফ রিপোর্টার : সম্মেলন নিয়ে বিরোধের জের ধরে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা-ভাংচুর এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আলহাজ্ব এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈমসহ ৭ নেতা-কর্মীকে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা ২ মামলায় দলীয় সাবেক সাধারন সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের ৬৫ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি রবিবার তারা আত্মসমর্পন করলে শেরপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরীফুল ইসলাম তুমুল তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেতা-কর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন চাঁন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো ফারুক হোসেন।
এদিকে আদালতের বিচারক জামিন বাতিলের আবেদন না-মঞ্জুর করার সাথে সাথে এজলাসের ভেতরেই অভিযুক্ত নেতাকর্মীরা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু‘ শ্লোগান শ্লোগান দিতে থাকে। আদালতের বাইরে অপেক্ষমান তাদের সমর্থক নেতাকর্মীরাও ওইসময় মুহুর্মূহু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএমএ ওয়ারেজ নাঈম ও সাধারন সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবুর বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠলে অতিরিক্ত পুলিশ আদালত অঙ্গণে পৌঁছে তা নিয়ন্ত্রণ করে।
উল্লেখ্য, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ২৮ নভেম্বর স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের একটি অংশ দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর উপজেলা আ’লীগের আহ্বায়ক নাঈমসহ ৭ নেতাকর্মীকে আহত করে। আহত নেতা-কর্মীদের উদ্ধারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপে ত্রাস সৃষ্টি করে। ওই ঘটনায় আওয়ামী-যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে একটি এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ৩২৬ ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই দুই মামলায় রবিবার ৬৫ নেতা-কর্মী আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করেন। তাদের মধ্যে আদালত মারপিটের মামলায় ১৪ জনকে জামিন দিলেও দ্রুতবিচার আইনের মামলায় সকলের জামিন নামঞ্জুর করেন।
