ads

শনিবার , ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

আগৈলঝাড়ার হাতুড়ে ডাক্তারের হাতে নবজাতকের মৃত্যু

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১৭, ২০১৫ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
আগৈলঝাড়ার হাতুড়ে ডাক্তারের হাতে নবজাতকের মৃত্যু

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) : গাইনী বিশেষজ্ঞ না হয়েও ডেলিভারী করাতে গিয়ে এক হাতুড়ে ডাক্তারের টানাহেঁচরায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতি মা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে শিক্ষিকার চাচা শ্বশুর বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Shamol Bangla Ads

শিক্ষিকার পরিবার ও থানা পুলিশসূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আহুতি বাটরা গ্রামের রতন হালদারের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী বাইন গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর গালর্স হাইস্কুলের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা। শিক্ষকতার জন্য স্কুল সংলগ্ন পশ্চিমপার্শ্বে শাহজাহান শরীফের বাসায় ভাড়া থাকেন। শিক্ষিকা পূর্র্ণিমা রানী বাইনের প্রেগনেন্সি পেইন শুরু হলে টরকী বন্দর ন্যাশনাল ব্যাংকের নিচে সরকার মেডিকেল হলের মালিক ও জেনারেল প্রাকটিশনার (হাতুড়ে ডাক্তার) মনোতোষ সরকারকে খবর দিলে তিনি ডেলিভারী করানোর চেষ্টা করেন। বাচ্চা ডেলিভারী না হওয়ায় টানাহেঁচড়া করে জোরপূর্বক ডেলিভারী করান। ডেলিভারীর কিছুক্ষণ পরেই নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। নবজাতকের মৃত্যু দেখে মনোতোষ পালিয়ে যায়। বাচ্চা নড়াচড়া না করায় সন্দেহ হয় প্রসূতীর সাথে থাকা লোকজনদের। তারা ডাক্তারকে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন। এদিকে প্রসূতী শিক্ষিকা পূর্ণিমা রানী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে অজ্ঞান হয়ে পরলে তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে পূর্ণিমা রানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। রতন বরিশালে থাকায় তার কাকা বাবুল হালদার বাদী হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাতুড়ে ডাক্তার মনোতোষ সরকারের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি ঢাকায় গিয়েছেন ইন্ডিয়ান ভিসার টোকেন লাগানোর জন্য বলে জানান।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নবজাতককে ডেলিভারী করাতে গিয়ে মেরে ফেলেছে এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নবজাতকের মায়ের অবস্থাও ভাল নয় বলে শুনেছি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!