ads

বৃহস্পতিবার , ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ | ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতি এবার হানা দিয়েছে বোরো বীজতলায়

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ ৬:২০ অপরাহ্ণ

Sherpur_District_Map_Bangladeshস্টাফ রিপোর্টার : শেরপুর সীমান্তে ফের বন্যহাতির উপদ্রব শুরু হয়েছে। খাদ্যের সন্ধানে বন্যহাতির দল এবার বোরো বীজতলায় হানা দিয়েছে। ১৪ জানুয়ারী বুধবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি গ্রাম নাকুগাঁওয়ে ৩০-৩৫টি বন্যহাতির একটি দল কয়েক একর জমির বোরো বীজতলা তিগ্রস্ত করেছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারোকোনা গ্রামে পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল বন্যহাতি ৭ কৃষকের প্রায় ২ একর জমির শিমতে খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। ফসলি জমিতে বন্যহাতির এমন তান্ডবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সীমান্ত জনপদের অধিবাসীরা।

Shamol Bangla Ads

জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ৩০-৩৫টি বন্যহাতির একটি দল নাকুগাঁও গ্রামের বোরো বীজতলায় প্রবেশ করে। ওইসময় পায়ে পিষ্ট করে প্রায় ১০ বিঘা জমির বোরো বীজতলা একেবারে নষ্ট করে ফেলে বন্যহাতির দল। আসন্ন বোরো আবাদ করতে গিয়ে অন্যের কাছ থেকে বীজতলা কিনে এ তি পুষিয়ে আনতে তিগ্রস্ত কৃষকদের অধিক ব্যয় করতে হবে। তিগ্রস্ত কৃষক আক্রাম হোসেন (৪৫) জানান, তার ২ কাঠা জমির বোরো বীজতলা একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ইন্তাজ আলী (৬৫) নামে আরেক কৃষক বলেন, বন্যহাতির দল অন্তত ৫০জন কৃষকের প্রায় ৮-১০ বিঘা জমির বোরো বীজতলা নষ্ট করে ফেলেছে। নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরীফ ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। বর্তমানে হাতির দলটি চারআলী পাহাড়ে অবস্থান করছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে অর্ধশতাধিক বন্যহাতির একটি দল সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার গারোকোনা গ্রামে হানা দিয়ে কৃষকদের শিমেেত তান্ডবলীলা চালায়। স্থানীয় কৃষকরা জানায়, ওইসময় ৭ কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন শিমতে খেয়ে এবং পায়ে মাড়িয়ে, শুঁড় পেচিয়ে একাকার করে ফেলে। ভোরের আলো ফোটার আগেই বন্যহাতির দলটি আবার পাহাড়ে চলে যায়। বন্যহাতির দলটি গারোকোনা গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়ার ৫০ শতাংশ, আব্দুল আজিজের ১৫ শতাংশ, শাহ জামালের ১০ শতাংশ, রোমান মিয়ার ২০ শতাংশ, শাহজাহানের ২০ শতাংশ, আব্দুল বারেকের ২০ শতাংশ ও আব্দুল গফুরের ৫০ শতাংশ জমির শিমতে খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে। তিগ্রস্ত কৃষক আব্দুল্লাহ মিয়া জানান, ওই শিম েেতর আয় দিয়েই আমার সংসার চলে। হাতির দল সব শেষ কইরা দিছে। এখন দিন কাল কিভাবে চলবো এই চিন্তায় আছি। তার মতোই পরিবারের জীবিকা নির্বাহ নিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছেন তিগ্রস্ত অন্যান্য কৃষকরা। স্থানীয় নলকুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খাবারের সন্ধানে বন্যহাতির দল লোকালয়ে নেমে এসে কোনো কিছু না পেয়ে এবার শিম েেত তান্ডব চালিয়েছে। ঘটনাটি ইউএনও এবং কৃষি অফিসকে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক জানান, তিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরী করে তাদের সহায়তা প্রদানের পদপে নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!