শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : নাশকতা রোধ,জান মালের নিরাপত্তা ও মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা নিশ্চিত করার প্রয়াসে দিনাজপুরে অবরোধ ও হরতালের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন।

জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি’র নির্দেশে দিনাজপুর কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধাররণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম.খালেকুজ্জামান রাজু,জেলা স্বেচ্চা সেবক লীগের সভাপতি আবু ইবনে রজবের নেতৃত্বে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ ও হরতাল বিরোধী অভিযানে অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তারা ব্যবসায়ীদের দোকান-পাট খোলার আহবান জানান। নির্বিঘেœ রাস্তায় যান-বাহন চলাচলে সহযোগিতা করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি’র নির্দেশে নাশকতা রোধ,জান মালের নিরাপত্তা ও মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা নিশ্চিত করার প্রয়াসে দিনাজপুরে অবরোধ ও হরতালের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন মাঠে নেমেছে বলে জানান দিনাজপুর কোতয়ালী আওয়ামীলীগের সাধাররণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন।
দিনাজপুরে র্যাবের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা !
দিনাজপুরে জঙ্গি সংগঠন-জেএমবি’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনের দায়েকৃত মামলার সাী দেয়ার জন্য র্যাবের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আদালতে সাী দিতে না আসার কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিচারক এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করার আদেশ প্রদান করেছে।
বুধবার বিকেলে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল করিম এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাী ৩ র্যাব সদস্যকে আদালতে হাজির করে স্যা দেয়ার জন্য র্যাব সদর দপ্তরের মাধ্যমে গ্রেফতারী পরোয়ানার আদেশ প্রদান করেন। বুধবার এই চাঞ্চল্যকর মামলার স্যা গ্রহণের জন্য দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ ২ আদালতে দিন ধার্য ছিল। নিষিদ্ধ ঘোষিত ইসলামী জঙ্গী সংগঠন-জেএমবি’র উত্তরাঞ্চলের সামরিক কমান্ডার রফিকুল ইসলাম ওরফে জোবায়ের ওরফে রাসেল ওরফে জসিম (৩২) ও এহসার সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫৮), এহসার সদস্য শাহিন হোসেন (২৯) ও সোহেল মাহফুজ ওরফে তুহিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলার ধার্য তারিখ ছিল। বিচারক পরবর্তী তারিখ আগামী ৫ মার্চ ধার্য করেন।
হাজতে আটক ৩ জন আসামীর মধ্যে ২ জন রফিকুল ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্য মামলায় আটক এবং অপর আসামী শহিদুল ইসলাম দিনাজপুর জেলা কারাগারে আটক রয়েছে। সারাদেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে ওই ৩ জন শীর্ষ জঙ্গীকে আদালতে হাজির করা হয়নি। পলাতক আসামী জেএমবি’র এহসার সদস্য ও বর্তমান জেএমবি’র ভারপ্রাপ্ত আমীর সোহেল মাহফুজ ওরফে তুহিরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে দেশের সকল থানায় হুলিয়া গ্রেফতারী পরওয়ানা জারী করা হয়েছে। পলাতক আসামী তুহিরের অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য চলছে।
মামলার এজাহারকারী জয়পুরহাট র্যাব-৫এর এসআই আশরাফুল আলম, এএসআই নজরুল, সিপাহী আরিফ ও শাহিনের স্যা গ্রহণ হয়েছে। তবে মামলার অন্যান্য সাীদের বিরুদ্ধে সমন ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করার পরেও সাীগণ আদালতে সাী দিতে না আসায় বিচারক মামলার ৫ হতে ৭নং সাী ৩ জনের বিরুদ্ধে সাী দিতে গত বছর ১২ অক্টোবর তাদের আদালতে হাজির করতে র্যাব সদর দপ্তরের মাধ্যমে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর আদেশ প্রদান করেন। বুধবার ওই ৩ জন সাী আদালতে স্যা দিতে না আসায় পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা কার্যকর করতে বিচারক তাগিদ দেয়ার আদেশ দেন। বিচারক আগামী ৫ মার্চ পরবর্তী স্যা গ্রহণের তারিখ নির্ধারন করার আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২০০৮ সালের ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প-৫ এর অভিযানে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের কোরবান আলীর পুত্র জেএমবি’র এহসার সদস্য শহিদুল ইসলাম (৫৮)’র বাড়ী তলাশী করে বিপুল পরিমান বোমা তৈরীর উপকরণ, জেহাদী বই, লিফলেট, গামবুটসহ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃত শহিদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাজশাহী বিভাগের জেএমবি’র সামরিক কমান্ডার নীলফামারী সদর উপজেলার সুখধনডাঙ্গা গ্রামের মোর্তুজা আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম ও সহযোগী শাহিন ও মাহাফুজ উদ্ধারকৃত আলামতগুলো গ্রেফতারকৃত শহিদুলের বাড়ীতে রেখে গেছে। পরবর্তীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে রফিকুল এবং গত ডিসেম্বর মাসে ঢাকা সাভারে র্যাব সদস্যদের হাতে এহসার সদস্য শাহিন হোসেন গ্রেফতার হলে পুলিশ তাকে অত্র মামলায় গ্রেফতার করে।
