ads

মঙ্গলবার , ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ | ২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

মহাদেবপুরের ভরা যৌবনা আত্রাই এখন শুধু নামেই নদী

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১৩, ২০১৫ ৮:৪১ অপরাহ্ণ

Mohadevpur Picture_13-01-2015মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : এক সময়ের উত্তাল আত্রাই এখন শুধু নামেই নদী। বাস্তবে পরিণত হয়েছে মরাখালে। খুব বেশী আগের কথা নয়। আশির দশক জুড়েই ভরা যৌবনা ছিল আত্রাই। সে সময় আত্রাইয়ের তর্জন-গর্জনে মানুষের বুকে কাঁপন সৃষ্টি হতো। নব্বইয়ের দশক থেকে ক্রমেই যৌবন হারাতে থাকে এ নদী। এখন এসে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নদীটির আর হারানোর কিছুই নেই। সরু মরাখালে পরিণত হয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই অতীতে নওগাঁর মহাদেবপুরের এ আত্রাই নদীতে ঢেউয়ের তালে চলাচল করেছে পালতোলা অসংখ্য নৌকা। ভাটিয়ালী আর পল্লীগীতি গানের সুরে মাঝিরা নৌকা নিয়ে ছুটে চলেছে জেলার ধামইরহাট, পতœীতলা ও মান্দাসহ অন্যান্য জেলা এবং উপজেলার নদী কেন্দ্রীক ব্যবসা কেন্দ্রগুলোতে। এ নদীকে ঘিরে বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা বড় বড় হাটবাজার সমূহে ব্যবসার জন্য ধান, পাট, আলু, বেগুন, সরিষা, কালাই ও গমসহ নানান কৃষি পণ্য নিয়ে সওদাগররা নৌকায় পাল তুলে মাঝিমাল্লা নিয়ে ছুটে চলতেন। শুধু কৃষি পণ্যই নয় হাটগুলোতে বিক্রির জন্য তারা নিয়ে যেতেন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পণ্য। ওই সময় আত্রাই নদী ছিল পূর্ণ যৌবনা। এ নদীকে অবলম্বন করে অসংখ্য মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার রাস্তা খুঁজে পেয়েছিল। শুধু হাটবাজারই নয় এ নদী কেন্দ্রীক গড়ে উঠেছিল অনেক জনপদ। নদীর অথৈ পানি দিয়ে কৃষক দুই পাড়ের ঊর্বরা জমিতে ফসল ফলাতো। প্রকৃতির অফুরন্ত পানিতে নানা ফল-ফসলে ভরে উঠেছিল কিলোমিটারের পর কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত আত্রাই নদীর দুইধারের জমি। সে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। জীবিকার সন্ধানে নদী সংলগ্ন ও আশপাশ এলাকার অসংখ্য জেলে পরিবারের বসতী গড়ে উঠেছিল। ছোট বড় নানা প্রজাতীর মাছেরও অফুরন্ত উৎস ছিল এ নদী। মাছ পাওয়া যেত সারা বছর। জীবিকার জন্য মাছের আশায় জেলেরা রাতদিন ডিঙ্গী নৌকায় জাল-দড়ি নিয়ে চষে বেড়াতেন নদীর এ প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ধরাও পড়তো প্রচুর মাছ। সেই সোনালী দিন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। সময় গড়িয়ে চলার সাথে সাথে সেই ভরা যৌবনা নদী এখন মরাখালে পরিণত হওয়ায় আত্রাইকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অসংখ্য হাটবাজার এখন হয়েছে বিরাণ অঞ্চল, কৃষি জমিগুলো পরিণত হয়েছে ধুধু প্রান্তরে, জেলে পরিবারগুলো হয়ে গেছে বীলিন আর সে সময়ের ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎসগুলো হয়ে গেছে চিরতরে বন্ধ। এসবই এখন কালের স্বাক্ষী। ঐতিহ্যের দিক থেকেও এ এলাকার নদ-নদীগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল আত্রাই নদী। ভৌগলিকভাবেও নদীটি ছিল চমৎকার অবস্থানে। নদীটি কোনদিন খনন ও ড্রেজিং করাতো হয়ইনি এমনকি রক্ষণাবেক্ষণেরও কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনোই। সরকারের নজর না দেয়ার সুযোগে এক শ্রেণীর দখলবাজ নদীটির অনেক স্থান দখলে নিয়ে খুশিমত ভরাট করে ফেলেছে। কেউ কেউ বর্জ্য ফেলে দূষণ ও ভরাট অব্যাহত রেখেছে। অনেকে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র থেকে বালু উত্তোলন ও পাড় কেটে মাটি বিক্রির প্রতিযোগীতায় মেতে উঠে নদীর চিহৃটিও মুছে ফেলতে লেগেছে।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!