আব্দুল করিম সরকার, পীরগঞ্জ (রংপুর) : সদ্য ঘোষিত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ কমিটিতে সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদের ঠাঁই হয় নি। ইতিপুর্বে স্বাধীনতা পরবর্তি সব ক’টি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা আ’লীগ কমিটিতে আবুল কালাম আজাদ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আ’লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ৭১সালে গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করায় এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর পরিচিতি। ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় অবস্থান করলেও প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে নিজে উপস্থিত থেকে শ্রম ও মেধা দিয়ে তিনি ভুমিকা রেখেছেন। সে কারনে বরাবরই উপজেলা আ’লীগ কমিটিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০০৮ সালের প্রধানমন্ত্রী’র ছেড়ে দেয়া আসনের উপ-নির্বাচনে এমপি হন আবুল কালাম আজাদ। ২০০৬ সালের উপজেলা আ’লীগের কাউন্সিলে ব্যালটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ সভাপতি ও মোকাররম হোসেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ উপজেলা আ’লীগ কমিটি ঘোষিত হলে সেখানেও আবুল কালাম আজাদ এক নম্বর সদস্য ছিলেন। পরে বিগত ২০১৩ ইং সালের ২২ ফ্রেরুয়ারী উপজেলা আ’লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ব্যালটের মাধ্যমে মোতাহারুল হক বাবলু সভাপতি ও এ্যাডভোকেট তাজিমুল ইসলাম শামীম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। দীর্ঘ ২৩ মাস পর সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক নম্বর সদস্য করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা আ’লীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। গত ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর ছেড়ে দেয়া আসনের উপ-নির্বাচনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী’র দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তিতে মনোয়ন বঞ্চিত হন আবুল কালাম আজাদ এবং অদ্যাবধি এলাকায় পা পড়েনি ওই সাবেক এমপি’র। দলীয় কাজেও নিস্ক্রিয় তিনি। সম্প্রতি উপজেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হওয়ায় দলীয় কমিটি থেকেও বাদ পড়লেন তিনি। এ ঘটনায় নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন আ’লীগ নেতা ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ বলেছেন এমপি থাকা অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে আত্বীয়করনের ফলে দল থেকে ছিটকে গেছেন ওই সাংসদ। কেউ বলেছেন ওনাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার দরকার ছিল, উনি গুরুজন, ওনাকে সম্মান দেয়া আমাদের কর্তব্য, তাছাড়া একসময়ে দলের দুর্দিনের কান্ডারী ছিলেন তিনি।
