দিনাজপুর প্রতিনিধি : বিজিবি,র্যাব,পুলিশ ও ফায়ার সার্ভির ডিফেন্সের প্রহরায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে ওয়েল হেড ডিপো থেকে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা এ তিন কোম্পানীর তেল সরবরাহ করা হচ্ছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে। ইতোমধ্যে আড়াই শতাধিক ট্যাংক লরীর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ লিটার তেল সরবরাহ করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার মধ্যে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলা,কুড়িগ্রামের রৌমারী, গাইবন্ধা, বামনডাঙ্গা, রংপুর, লালমনিরহাট, পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, পঞ্চগড়, বোদা, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রানীশৈংকল, নীলফামারী, সৈয়দপুর ও জলঢাকায় তেলবাহী লরী দিয়ে তেল পৌছাঁনো হয়েছে । এছাড়াও আরও বেশ কিছু ট্যাংক লরীতে তেল সরবরাহের অপেক্ষায় পাইপ লাইনে রয়েছে। এ লরীগুলো রাতের মধ্যেই আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রহরায় গন্তব্যেস্থলে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন,ওয়েল হেড ডিপো’র উপ-ব্যবস্থাপক মজিবর রহমান । সে ক্ষেত্রে সরবারাহকৃত তেলের ট্যাংকলরীর সংখ্যা তিন’শ ছাড়িয়ে যাবে বলে পার্বতীপুর রেলওয়ে ওয়েল হেড ডিপোর ইনচার্জ শাহজাহান হাওলাদার জানিয়েছেন।তিনি বলেন, অবরোধের কারনে তেলবাহী ট্যাংকলরী বিজিবি,র্যাব,পুলিশ ও ফায়ার সার্ভির ডিফেন্সের প্রহরায় পুলিশ প্রহরায় উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাগুলোতে পৌছে দেয়া হচ্ছে। অবরোধ ও হরতাল থাকলে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহামুদুল আলম বলেন, পার্বতীপুর থেকে পুলিশ প্রহরায় তেলবাহী ট্যংক লরীগুলো পরবর্তী পুলিশ ষ্টেশন পর্যন্ত পৌছে দেয়া হচ্ছে। এর জন্য পার্বতীপুর থেকে পুলিশ স্কট নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। একই ভাবে প্র্রতিটি থানার পুলিশ তাদের নিজ নিজ থানা ছাড়াও বিজিবি,র্যাব,ফায়ার সার্ভির ডিফেন্স প্রহরার দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে দেশব্যাপী ২০ দলের লাগাতার অবরোধের মুখে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অস্থিরতা আর আতঙ্কের মধ্যে জনজীবন। নবান্নের ধান ঘরে তুলে এখন বাজারে বিক্রি করতে এসে নায্যমূল্য পাচ্ছেনা কৃষক। এভাবে চলতে থাকলে ধানের বাজার পড়ে যেতে পারে সেই শঙ্কা তাদের। অপরদিকে শীতের সবজি ক্রেতার অভাবে চাষির ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে। পণ্যবাহী গাড়ী গুলো না আসার কারনে তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।প্রশাসনের সহযোগিতায় দুরপাল্লার দ’ুএকটি যানবহন চলাচল করতে দেখা গেলেও আন্তঃ জেলা বাস,ট্রাক রাস্তায় না চলায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট কুলি, শ্রমিকরা পড়েছে চরম বিপাকে। এই অচলাবস্থার কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। পেটের তাগিদে যে কয়েকটা ভ্যান রিক্সা রাস্তায় চলছে তাও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই।
এদিকে ছেলে,মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা থাকছেন উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে।
