মাহফুজার রহমান মনু, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার ৩০ দিন না পেরুতেই রেলওয়ের জায়গায় আবারো নতুন করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার মহোৎসব চলছে। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বর্তমান রাজারহাট রেলওয়ের স্টেশন মাষ্টার মাঈদুল ইসলামের সঙ্গে ওইসব ব্যবসায়ীরা উৎকোচ দেয়ার মাধ্যমে নতুন করে রেলের জায়গায় অবৈধভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। পাশাপাশি সপ্তাহের প্রতি শনি ও বুধবার রেল লাইনের ওপর হাট বসে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপরে কোন মাথা ব্যথা নেই বলে এলাকাবাসী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ইং রাজারহাট রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে লালমনিরহাট রেলওয়ের এস্টেট অফিসার আশিষ কুমার চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে ৫টি বসতবাড়ীসহ প্রায় ৪৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ বিষয়ে রাজারহাট রেলওয়ের স্টেশন মাষ্টার মো. মাঈদুল ইসলামের সঙ্গে তার ০১৭৩৪৩০৩২২৫ নম্বরে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত ওইসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি যোগদান করার পর রেলের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে প্রথম সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকে বিষয়টি অবহিত করার পর ওই অভিযান পরিচালিত হয়। আসলে আমাদের এখানে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী না থাকায় চরম সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় এবং লালমনিরহাট রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর অপোয় থাকতে হয়। এসব বিষয় নিয়ে আগামী দু’একদিনের মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপকে অবহিত করা হবে।

রাজারহাট বাজারের নিত্যদিনের সঙ্গী জলাবদ্ধতা
এটা কোন বর্ষাকালের দৃশ্য নয়। ভরা শীত মওসুমেও রাজারহাট উপজেলা সদর বাজারটির প্রেসকাব রাজারহাট-এর গলিপথের দৃশ্য এটি। প্রতি বছর বর্ষা মওসুমে হাটটির চার ভাগের তিন ভাগই নির্মজ্জিত হয়ে থাকে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বাজারটির জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে প্রতি বছর সংস্কারকাজে সরকারি রাজস্ব খাত থেকে লাখ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। নামমাত্র প্রকল্প বানিয়ে হাতে গোনা কিছু ইটের ডাস ও বালু মিশ্রিত নিম্নমানের কিছু খোয়া ফেলে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগি ব্যবসায়ী, জনসাধারণসহ এলাকাবাসী। প্রতি বছর হাটটি ইজারায় সরকারি কোষাগারে কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব আদায় করলেও বাজারটির সংস্কারকল্পে নেই কোন সঠিক তদারকি। পাশাপাশি ঘন বসতিপূর্ণ বাজারটিতে নেই কোন গণশৌচাগার। যেখানে-সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ করছে হাটুরে ও ব্যবসায়ীরা। বাজারটির ভেতরে চলাফেরা করলে মনে হয় যেন দম বন্ধ হয়ে আসছে। বাজারটির বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তুপ জমে থাকছে বছরের পর বছর। মাঝে মধ্যে হাট ইজারাদারকে ভুক্তভোগীরা একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন সুফল মেলেনি। গত বৃহস্পতিবার রাজারহাটের নবাগত ইউএনও মো. আব্দুল মোতালেব সরকারকে বিষয়টি প্রেসকাব নেতৃবৃন্দ মৌখিকভাবে জানানোর পর ওইদিন তিনি বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মোতালেব সরকারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে অতি শীঘ্রই একটি গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যাতে করে জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি দূর করা যায়। # (ছবি সংযুক্ত)

রাজারহাটে সাংবাদিকদের সাথে ন্যাশনাল আর্কাইভ জেনারেল কো-অর্ডিনেটর ফোরাডস গিয়ার্ডস’র মতবিনিময়
গতকাল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বাংলাদেশ আর্কাইভ ম্যানেজমেন্ট সোসাইটির সহযোগিতায় প্রেসকাব রাজারহাট’র উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসকাব সিনিয়র সহ. সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল আর্কাইভ এডভাইজার এর জেনারেল কো-অর্ডিনেটর ফোরাডস গিয়ার্ডস, বাংলাদেশ আর্কাইভ এন্ড রাইট টু ইনফরমেশন কমিউনিটি অব কিশোরগঞ্জ ও ফ্রেন্ডস অব আর্কাইভ বাংলাদেশ-এর ইলিয়াছ কাঞ্চন, প্রেসকাব সা. সম্পাদক আনিছুর রহমান লিটন, সহ. সা. সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস,এ বাবলু, কার্যকরী সদস্য লুৎফর রহমান আঁশু, মুকুল কোঙর, রনজিৎ কুমার রায়, প্রভাষক এনামুল হক, মাহফুজার রহমান মনু, এস,এ লিমন প্রমূখ। এর আগে রাজারহাট মীর ইসমাইল হোসেন ডিগ্রী কলেজের শিার্থীদের নিয়ে অত্র কলেজের হলরুমে আর্কাইভ কি ও এর সুফল তুলে ধরে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
