কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের গাঙ্গাটিয়ার জমিদার পরিবারের জমিদার মৃত তপন কুমার চক্রবর্তীর স্ত্রী মুক্তাদেবী বিষপানে আত্নহত্যা করেছে। ১১ জানুয়ারী রবিবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, হোসেনপুরের বৃটিশ আমলের গাঙ্গাটিয়া জমিদারবাড়ির উত্তরাধিকারী মৃত তপন কুমার চক্রবর্তীর স্ত্রী মুক্তাদেবী রবিবার সকালে বিষপান করে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে জেলা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা.মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি কিশোরগঞ্জ মডেল থানাকে অবগতি ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হয়। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার এসআই মফিজুল ইসলাম জানান,রবিবার সন্ধায় মৃতের লাশের সুরতহাল তৈরী করে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে জমিদার পরিবারের বর্তমান উত্তরসুরী মানবেন্দ্র চক্রবর্তীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি আরও জানান , মৃত মুক্তাদেবীর হাতের লেখা দুটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর ডায়রির একটিতে লেখা রয়েছে ‘শ্রীচরনেষূ, সেজদা, দিদি, মেজদি, তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও, সে আমাকে ডাকছে তাই তার কাছে চলে গেলাম’-মুক্তা। অন্য আরেকটি চিরকুটে উল্লেখ রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’-মুক্তাদেবী। এ ব্যাপারে জমিদার পরিবারের বর্তমান উত্তরাধিকারী মানবেন্দ্র চক্রবতী জানান, বিষপান করে আত্নহত্যা করার ঘটনাটি আমাদের পরিবারের জন্য একটি দু:খ জনক ঘটনা।
কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ও ভূমি উদ্ধারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের জবরদখলকৃত ছাত্রবাস, খেলার মাঠ, পুকুর, স্টাফ কোয়ার্টার উদ্ধারের দাবীতে গতকাল রবিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ছাত্র ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিামন্ত্রী বরাবরে এক স্মারকলিপি পেশ করে।
স্মারকলিপিতে উলেখ করা হয়, ২০০৬ সাল থেকে তৎকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়েত ইসলামী সেক্রেটারী আলী আহসান মুজাহিদ, স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপরে সহায়তায় জামাত শিবিরের ক্যাডারদের দিয়ে আবাসিক ছাত্রদের মারপিট করে জোরপূর্বক ছাত্রদের উচ্ছেদ করে ইংলিশ মিডিয়াম বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল কিশোরগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, পুকুর, স্টাফ কোয়ার্টার দখল করে নেয়। পরে স্কুলের প্রধান শিক এ.কে.এম আব্দুলাহ’র নিকট থেকে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল ২০০৬ সনে দুই বছরের জন্য মাসিক ১২ হাজার ৫০০ টাকা ভাড়া নিলেও অদ্যাবধি জোর পূর্বক ছাত্রাবাস, খেলার মাঠ, পুকুর, স্টাফ কোয়ার্টার দখল করে রয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতিবিজড়িত খেলার মাঠটিতে বিয়াম অডিটরিয়াম করার পায়তারা করছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি গরিব পরিবারে মেধাবী সন্তানেরা প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীায় উত্তীর্ণ হয়েও ছাত্রাবাস না থাকার কারণে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলটি একটি বেসরকারী প্রাইভেট স্কুল হওয়া সত্বেও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি চাকুরিবিধি লঙ্ঘন করে অধ্যরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে স্কুলের পে অভিভাবক এ্যাড. এনামুল হক, নারী নেত্রী নাযমুন নাহার মলি, সহকারী শিক গোলাম ফারুক হিরু, জুলহাস উদ্দিন ও ৪ সদস্যদের ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
