ads

রবিবার , ১১ জানুয়ারি ২০১৫ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

পীরগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলা হলেও স্কুলছাত্রী গর্ভবতী!

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১১, ২০১৫ ৯:১৫ অপরাহ্ণ
পীরগঞ্জে ধর্ষন চেষ্টা মামলা হলেও স্কুলছাত্রী গর্ভবতী!

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে এক ছাত্রীকে জোরপৃর্বক ধর্ষনের চেষ্টায় থানায় মামলা হলেও অবশেষে দরিদ্র ভ্যান চালকের কন্যা গর্ভবতী হয়েছেন মর্মে জানা গেছে। ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে বলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় লোক লজ্জায় ওই ছাত্রীর ভ্যানচালক বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা টের পেয়ে তাকে রা করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছরের ৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার চতরা ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, প্রত্যন্ত পলী অঞ্চলের চতরা ইউপি’র যাদবপুর গ্রামের জনৈক্য ভ্যানচালকের কন্যা সন্ধ্যার পর বাড়ির শয়ন ঘরে পড়তে বসে। এ সময় বাবা স্থানীয় কাঞ্চনবাজার এলাকায় বাজারে যায়। ওই স্কুলছাত্রীর মা জরুরী প্রয়োজনে ওই দিন সকালে অন্য ভাইবোনদের নিয়ে নানা বাড়ি পাশ্ববর্তী গ্রাম আকুবেরপাড়ায় বেড়াতে যায়। পড়তে বসাবস্থায় নির্জনতার সুযোগে প্রতিবেশী ধর্নাঢ্য দেলওয়ার রহমানের পুত্র লম্পট একরামুল হক (২২) তার ঘরে প্রবেশ করে দরজায় আটকে দেয়। এরপর মুখে ওড়না পেঁচিয়ে জোর পুর্বক ধষর্নের চেষ্টা চালায়। এ সময় ছাত্রীটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দরজা খুলেই পালিয়ে যায় লম্পট একরামুল। পরে বাবা এসে গ্রামের উপস্থিত লোকজনের কাছে এ ঘটনার বিচার চায়। এক পর্যায়ে লোক লজ্জায় ওই রাতে একাধিকবার আত্মহত্যা করার সময় গ্রামবাসী টের পেয়ে তাকে রা করে। অবশ্য ঘটনার পরের দিন বিকেলে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ধর্ষকের পরিবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, দেওয়ানী মাতব্বরেরা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষন নয়, ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়। ঘটনাটি দৈনিক রংপুর চিত্রসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ঘটনার ৩দিন পর ওই ছাত্রীকে নিয়ে এসে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এদিকে ঘটনার পর ওই ছাত্রী অবৈধ গর্ভবতী হওয়ার খবর শুনে বেকায়দায় পড়ে আসামীর পরিবার। এক পর্যায়ে আসামীর বাবা দেলওয়ার হোসেন ও মা এসমোতারা বেগম গত ৭ ডিসেম্বর স্থানীয় জাফরপাড়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক শহীদুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তার পুত্র একরামুলের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে রংপুরের নীড ল্যাব নামক প্যাথলজিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। সেখানে ওই ছাত্রীর গর্ভের বিষয়টি নিশ্চিত হলে গর্ভপাতের জন্য পল্লী চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম ও কাঞ্চন বাজারের অপর এক পল্লী চিকিৎসক ফারুক হোসেন গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রাত্রে জাফরপাড়া বাজারের শান্তা মেডিকেল স্টোর এর পল্লী চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে ঔষধ সেবন করা হয়। ওই রাত্রেই ঔষধ সেবন করার পর পরই ওই ছাত্রীর প্রচুর রক্তরন হলে স্থানীয় খন্দকার ফার্মেসীর পল্লী চিকিৎসক ফারুকের স্মরণাপন্ন হলে তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এদিকে পল্লী চিকিৎসক শহীদুল ইসলামের সাথে (০১৭৪৮৯৭৬০৪৬) নম্বরে কথা হলে তিনি জানান ধর্ষকের পিতা-মাতার সাথে রংপুরে গিয়েছিলাম পরীা করার জন্য রিপোর্ট দেখার পর রোগীর গর্ভবর্তী বয়স বেশি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দেয়নি। অপরদিকে পল্লী চিকিৎসক ফারুক মিয়া জানান, রোগীর বাবা রাত্রে আমার স্মরণাপন্ন হলে আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। খুব শিঘ্রই লম্পট একরামুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!