ads

শনিবার , ১০ জানুয়ারি ২০১৫ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  1. ENGLISH
  2. অনিয়ম-দুর্নীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আমাদের ব্লগ
  6. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  7. ইসলাম
  8. উন্নয়ন-অগ্রগতি
  9. এক্সক্লুসিভ
  10. কৃষি ও কৃষক
  11. ক্রাইম
  12. খেলাধুলা
  13. খেলার খবর
  14. চাকরির খবর
  15. জাতীয় সংবাদ

চকরিয়ায় গুলিবিদ্ধ আরও এক ডাকাতের মৃত্যু : ব্যাপক লুটপাট

রফিকুল ইসলাম আধার , সম্পাদক
জানুয়ারি ১০, ২০১৫ ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ
চকরিয়ায় গুলিবিদ্ধ আরও এক ডাকাতের মৃত্যু : ব্যাপক লুটপাট

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : চকরিয়য়া আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’ ডাকাত দলের গুলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ডাকাত সর্দার আতাউল্লাহ মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এদিকে ডাকাত জাহেদের মৃত্যুর পর তার বাহিনীর সদস্যর ও স্বজনরা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে।
গত ৮জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে সওদাগরঘোনার জাহেদুল ইসলাম ও মন্জুর গ্রুপের নেতৃত্বে ১০-১২জনের সশস্ত্র ডাকাত দল চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপ এলাকায় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি করতে প্রস্তুতি নেয়। ওইসময় চরণদ্বীপের ডাকাত আতাউল্লাহ ও সিরাজ গ্রুপের বাধারমুখে পড়ে জাহেদ ও মনজুর গ্রুপ। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের গুলাগুলিতে সওদাগরঘোনার নুর আহমদের পুত্র ডাকাত জাহেদুল ইসলাম (২৫) ঘটনাস্থলে মারা যায়। এসময় সওদাগরঘোনা এলাকার আতাউল্লাহ গ্রুপের প্রধান আবদুছ ছালাম মাঝি’র পুত্র আতাউল্লাহ (৩২), আবুল হোসেনের পুত্র ওসমান গনি (২৩), মোজাহের আহমদের পুত্র আবদু ছালাম (২৪) ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার মোক্তার আহমদের পুত্র সিরাজুল ইসলাম (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় ডাকাত সর্দার আতাউল্লাহ মারা যায়।
তার স্বজনরা জানান, আতাউল্লাহ হাটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ঘটনারদিন জাহেদ ডাকাতের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার রাতভর তার বাহিনীর সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় চরণদ্বীপ এলাকায় ডাকাত আতাউল্লাহর বাড়িসহ সাধারণ মানুষের সহায় সম্পদ লুট করেছে। ওই এলাকার গরু, ছাগল, হাস, মুরগি, ধান ও ৪টি মুদির দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে চরণদ্বীপ এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ঘর-বাড়ি ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে পাশ্ববর্তী এলাকাবাসিও।
চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, ডাকাত দলের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের গুলাগুলিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। তাদের মৃত্যুর পর এলাকায় আরও ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করছে ডাকাত জাহেদের স্বজনরা। তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে সাধারণ মানুষের সম্পদ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। গরু, ছাগল, হাস মুরগী, ধান ও কয়েকটি দোকানের মালামাল লুট করেছে।
এঘটনায় চকরিয়া থানার এসআই সুখেন্দু বাদি হয়ে ১৬জনকে আসামী করে দু’টি মামলা দায়ের করেছে। একটি অস্ত্র আইনে অন্যটি ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়ে। দু’টির প্রধান আসামী করা হয়েছে নিহত ডাকাত সর্দার আতাউল্লাহকে।
চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। ওইসব মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে ডাকাত আতাউল্লাহকে। তিনি আরও জানান, জাহেদের মৃত্যুর ব্যাপারে স্বজনদের পক্ষ থেকে একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। আতাউল্লাহর ব্যাপারেও এজাহার দিলে মামলা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ - ব্রেকিং নিউজ

Shamol Bangla Ads
error: কপি হবে না!