ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের আঁকা শিল্পকর্ম নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করছে। এজন্য জয়নুলের আঁকা শিল্পকর্ম ও ব্যবহার্য সামগ্রী যথাযথভাবে সংরণ করতে হবে। কিংবদন্তী শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলে ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শিল্পাচার্যের স্মৃতিধন্য ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা প্রাঙ্গণে আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী জয়নুল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জয়নুল নিজে ছবি এঁকেছেন এবং মানুষকে আঁকতে শিখিয়েছেন। তিনি চেয়েছেন এদেশের মানুষ ছবি আঁকতে শিখুক। সেই চাওয়া থেকেই শুরু করেছিলেন চারুকলা ইনস্টিটিউট। তিনি আরো বলেন, ছবি আঁকার বীজ বপণ করে গেছেন শিল্পাচার্য জয়নুল। তিনি বলেন, ময়মনসিংহ সংগ্রহশালাটির কলেবর আরো বৃদ্ধি হওয়া উচিত ছিল। তিনি এখানে একটি যাদুঘর করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিলাহ ফারুকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, জাতীয় যাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুর লতিফ, ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিুজুর রহমান, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, শিল্পাচার্যের তনয় খায়রুল আবেদিন, দেশবরেণ্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পী হাসেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী ও শিল্পী আবুল বারক্ আলভী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন উপ-কীপার ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক।
অনুষ্ঠানে শিল্পকর্মে অবদানের জন্য শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পী হাসেম খান, শিল্পী রফিকুন নবী ও প্রয়াত কাইয়ুম চৌধুরীকে জয়নুল সম্মননা ক্রেষ্ট ও এক লাথ টাকার চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে ক্রেষ্ট ও পুরস্কার বিতরণ তুলে দেন। পরে অতিথিবৃন্দ লোক ও কারুশিল্প এবং পুষ্প ও পিঠা মেলার উদ্বোধন করেন এবং মেলা প্রাঙ্গণে জয়নুল শিশু চারুপীঠের শিার্থীদের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী পরিদর্শণ করেন।
জয়নুল আবেদিন ময়মনসিংহের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের যে স্থানটিতে বসে ছবি আঁকতেন সেই প্রাঙ্গণে মেলার পাশাপাশি প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত থাকবে মনোজ্ঞ লোকগান ও লোকনৃত্য, বাউল সঙ্গীত ও পালাগান।
