ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবছর পাসের হার হার ৯৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। গতবার ছিলো ৯৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত বারের চেয়ে পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর গত বারের চেয়ে এবার ৩ হাজার ৮৩ জন বেড়ে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৩ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর সামশুল কালাম আজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এসময় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, কলেজ পরিদর্শক ড. আনারুল হক প্রাং, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ রঞ্জন সরকার, প্রধান মূল্যায়ন কর্মকর্তা গোলাম আযন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন জেএসসি পরীক্ষায় মোট ২ লাখ ৪ হাজার ৯২২ জনের মধ্যে অংশ নেয় ২ লাখ ৫১৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৯১ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে ছাত্রের পাসের হার ৯৫ দশমিক ২২ শতাংশ এবং ছাত্রী ৯৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৬০৬ জন। এরমধ্যে ১১ হাজার ৪৮৪ জন ছাত্র এবং ১২ হাজার ১২২ জন ছাত্রী রয়েছে। ফলে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ছেলেতর টপকে এবারা মেয়েরা এগিয়ে। পাশের হারে পিছিয়ে থাকলেও গতবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে মেয়েদের পেছনে ফেলেছিলো ছেলেরা।
এবারের পরীক্ষায় রাজশাহী বোর্ডে শীর্ষ স্থানে রয়েছে গতবারের সেরা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আর বগুড়া জেলা স্কুলকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। একধাপ নেমে তৃতীয় হয়েছে বগুড়া সরকারী জেলা স্কুল।
আগের অবস্থান ধরে রেখেছে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম থাকা বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং একই এলাকার আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক হাইস্কুল। সেরা পাঁচে স্থান পায়নি শিক্ষানগরী খ্যাত রাজশাহী নগরীর কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মোট ২ হাজার ৮৯১টি বিদ্যালয়ের মধ্যে শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩টি। গতবারের মত এ বছরও ৫টি বিদ্যালয় থেকে কোন পরীক্ষার্থীই পাস করেনি। বোর্ডের অধীন মোট ২১১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এবারের পরীক্ষায় একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধিসহ ১৭ জন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী অংশ নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া এবার বিগত বছরগুলোর চেয়ে শিক্ষার্থীতের প্রস্তুতিও ভালোছিলো। ফলে প্রতাশিত ফলাফল হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ফলাফল ভালো করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়কে বোর্ডের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হয়েছে। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয়েছে। আগামীতে আরো ভালো ফলাফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
