রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ওই নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে। এর আধাঘন্টা আগে সিজারিয়ন অপারেশনের পর ওই নবজাতকের ওয়ার্ডে নেয়া হয়। নবজাতক চুরির ঘটনায় রামেক হাসপাতালজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়েছে।

রামেক হাসপাতাল সুত্র জানায়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার শনশনি পাড়ার তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে রোববার রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন।উক্ত দিনে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে মেয়ে শিশু জন্ম দেন। এর আধাঘন্টা পরই ওই নবজাতককে সেবিকার মাধ্যমে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সঙ্গে রুবিনার নানা মোজাফ্ফর ও নানী রহিমা বেগম ছিলন। ওয়ার্ডে শিশুটিকে নিয়ে আসার পরে সেবিকার হাত থেকে তারা বুঝে নেন। এরপরে ওই ওয়ার্ড থেকেই অপরিচিত চল্লিশোর্ধ এক নারী নবজাতকটিকে কৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়। মোজাফ্ফর জানান, ওই নারী নবজাতককে কোলে নিয়ে আদর করছিলেন। ওই সময় তিনি ও তার স্ত্রী বাচ্চার শোবার বিছানাপত্র প্রস্তুত করছিলেন। এই ফাঁকে বাচ্চা নিয়ে ওই নারী নিরুদ্দেশ হয়। আশেপাশে অনেক খোজাখুজির পর তার সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি তারা কর্তব্যরত সেবিকাদের জানান। পরে ঘটনাটি রামেক হাসপাতাল বক্স পুলিশকে জানানো হয়।বাচ্চা চুরির ঘটনায় হতবাক মোজাফ্ফর। তিনি জানান, তার মেয়ে রুবিনা এখনো অপারেশন থিয়েটারের পোস্ট অপারেটিভ রুমে আছে। তার জ্ঞান এখানো ফেরে নি। জ্ঞান ফেরার পরে মেয়েকে কি জবাব দেবেন তা তারা ভেবে পাচ্ছেন না।এ ঘটনায় হতকাব রুবিনার স্বামী তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, অপারেশনের পর থেকেই তিনি স্ত্রীর কাছেই ছিলেন। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কান্নাকাটির শব্দ শুনে তিনি সেখানে ছুটে যান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামেক হাসপাতাল বক্স পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) রতন কুমার সরকার জানান, এ ঘটনার পর থেকেই রামেক হাসপাতাল থেকে বের হবার সব কয়েকটি গেইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন হাসপাতালজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন।পরে খবর পেয়ে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ছুটে যান রামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন। তিনি জানান, তারা জড়িত ওই নারীকে আটক এবং বাচ্চা উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
