ইমরোজ খোন্দকার বাপ্পি, পাবনা : পাবনা-ঢাকা মহাসড়কে আতাইকুলার শোলাবাড়িয়া নামক এলাকায় সংবাদপত্র বহনকারী পিকআপ ভ্যান ও ইঞ্জিন চালিত ভ্যান (নছিমনের) মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ওই সড়ক দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফাইজুল ইসলাম দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রমজান আলী সাঁথিয়া উপজেলার বোয়াইলমারী গ্রামের মাখন হোসেনের ছেলে ও হেলাল একই উপজেলার উত্তর সোলাবাড়িয়া গ্রামের মজিবরের ছেলে।

মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এস আই হাফিজ জানান, বগুড়া থেকে সংবাদ পত্র বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান পাবনায় আসার পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আতাইকুলার শোলাবাড়িয়া নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা শ্যালোইঞ্জিন চালিত যাত্রীবাহি নছিমনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এতে নছিমনের ৬ যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান ও হেলাল নামের দুইজন মারা যায়। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিতিৎসাধীন রয়েছে মানিক হোসেন (৩২), শাহিনুর রহমান (২৫), ইব্রাহীম আলী (৩৫), সাইদুল ইসলাম (৩৬), লালু প্রাং (৩০) ও মোজাম্মেল হোসেন। এদের অধিকাংশের বাড়ি শোলাবাড়িয়া ও গোসাইবাড়ি গ্রামে।
পাবনায় ২০ দলের ডাকা হরতাল ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে

২০ দলের ডাকা হরতাল পাবনায় ঢিলেঢালা ভাবে পালিত হচ্ছে। সকাল থেকেই রাস্তায় হালকা যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। সকালের দিকে শহরে দোকান-পাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকান-পাট ও বিপনী বিতান খুলতে শুরু করেছে। বেলা ১১ টা পর্যন্ত জেলায় হরতাল সমর্থনে কোথাও কোন মিছিল বা পিকেটিং চোখে পড়েনি। তবে জেলা আওয়ামীলীগের একটি হরতাল বিরোধী মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, গাজিপুরে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেয়া ও ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবীতে দিনব্যাপী এ হরতালের ডাক দেয়।
এদিকে হরতালে নাশকতার আশংকায় পাবনায় বিএনপি-জামায়াতের ৭৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
