চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : দীর্ঘ প্রতিার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া ও চিতলমারী সীমান্তবর্তী পাটগাতী মধুমতি নদীতে নির্মিত শেখ লুত্ফর রহমান সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় দণি-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০ লাখ মানুষের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় চিতলমারী, বাগেরহাট, নাজিরপুর, পিরোজপুর ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলাসহ দণি-পশ্চিমাঞ্চলের ৪-৫টি জেলার সাথে রাজধানীর সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। সেতুটি শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, বাগেরহাটের চিতলমারী ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পাটগাতী মধুমতি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ দু’পাড়ের বাসিন্দাদের বহু বছরের প্রাণের দাবী। এ দাবী বাস্তবায়নের লে ২০০০ সালের ২৩ ডিসেম্বর তত্কালীন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুৎফর রহমানের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়। এ সময় দ্রুত সেতুর কাজ শুরু হলেও পরবর্তীতে সরকার পরিবর্তনের সাথে সেতুটির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার মতায় আসার পর সেতুর কাজ পুনরায় শুরু হয়। দীর্ঘ প্রতীার পর চলতি বছরের শেষের দিকে সেতুর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় শীঘ্রই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের কথা রয়েছে। অত্যাধুনিক ইস্টিলআর্চ সংযোজিত ৩৯১.৪৯১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৫০ মিটার প্রস্থ দীর্ঘতম এই সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে চিতলমারী ও টুঙ্গিপাড়াসহ দু’পাড়ের হাজার হাজার মানুষের পারাপারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম জানান, সেতুটি নির্মানের ফলে চিতলমারী ও টুঙ্গিপাড়া বাসীর পারাপারে দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের এ অবদানে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সাথে চিতলমারীবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক ডাকসু ভিপি এ্যাডঃ মীর শওকত আলী বাদশা জানান, বাগেরহাট জেলা সদরের সাথে রাজধানী ঢাকার সরাসরি সংযোগ সেতু হিসাবে এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে অবহেলিত দণিাঞ্চলের মানুষের আশা পূরণ করেছেন।
বিপর্যস্ত জনজীবন
চিতলমারীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। একই সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। পৌষের কনকনে শীত আর বাতাসের তীব্রতার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষগুলো। রাস্তা ও বাড়ির আঙ্গিনায় শুকনো খড় বা লাড়কী দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিবারন করছে শীত। গত কয়েক দিন সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত সূর্য না দেখায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সূর্য যেন লুকোচুরি খেলছে। শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সরকারী ভাবে এ উপজেলায় ৬শ ৯০টি কম্বল বরাদ্দ রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪শ ২৭টি কম্বল ইউপি চেয়ারম্যানদের হাতে পৌছে দেওয়া হয়েছে। বাকী ২শ ৭০টি কম্বল বিতরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কম্বল ছিন্নমূল মানুষের জন্য যতসামান্য। চিতলমারীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে পুরো অঞ্চল। রাস্তা ও চায়ের দোকানে দেখা যায় না মানুষের ভীড়। শীতের তীব্রতায় ইরি বোরো মৌসুমে কৃষকরা নামতে পারছে না ফসলী জমিতে। যানবাহন গুলো সন্ধ্যা হতে না হতেই ফিরছে গন্তব্য স্থানে। শীত যেন কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ধেয়ে আসছে এ অঞ্চলে। এ ব্যপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ জানান, শীতবস্ত্র বিতরণ করার জন্য চেয়ারম্যানদের হাতে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
